‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (ডব্লিউএইচও)-এর তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ফুসফুসের ক্যান্সারে। এই ক্যান্সারের ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী ধূমপানের অভ্যাস। কিন্তু ধূমপান ছাড়াও একাধিক কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। কী সেসব কারণ, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।
সিগারেটের ধোঁয়া
কেউ ধূমপান না করলেও আশপাশের ধূমপায়ীদের সিগারেটের ধোঁয়া থেকে তার ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। আবার অনেকেই এখন ‘হুক্কা’ পছন্দ করেন। তার ধোঁয়া থেকেও ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।
কেউ যদি অলস স্বভাবের হন, তাহলে সাবধান হতে হবে। কারণ, আলস্য থেকে ওজন বৃদ্ধি এবং হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। পাশাপাশি, ফুসফুসও ঠিক মতো কাজ করে না।
সঠিক নিয়মে না বসা
বাড়িতে কোনো কাজ করার সময়ে বা টিভি দেখার সময়ে অনেকেই সোজা হয়ে বসেন না। পরিবর্তে তারা সোফা বা বিছানায় শুয়ে পড়েন।
আবার অফিসে অনেকেই টেবিলে ঝুঁকে কাজ করেন। এই অভ্যাসের ফলে ফুসফুসের ওপর চাপ তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে ফুসফুসের পেশি শিথিল হয়ে যায়।
সর্দির সময়ে অনেকেই শ্লেষ্মা মুখ দিয়ে বাইরে বের করতে পারেন না। পরিবর্তে তারা শ্লেষ্মা গিলে নেন। মিউকাসের সঙ্গে বাতাসের দূষিত পদার্থ ফুসফুসের গায়ে জমা হতে শুরু করে। তার ফলে সময়ের সঙ্গে ফুসফুসের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।
রাসায়নিক সুগন্ধি
রুম ফ্রেশনার, সুগন্ধি মোমবাতিসহ দৈনন্দিন ব্যবহৃত একাধিক জিনিসে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। দীর্ঘদিন নিঃশ্বাসের মাধ্যমে তা ফুসফুসে প্রবেশ করে ক্ষতি করে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার ডট কম
Leave a Reply