“আমার কাছে আপনাদের কাছে পিনাকী ভট্টাচার্য, তারও কাছে এরকম, কারও কাছে সেরকম, কারও কাছে অনেক ভালো, কিন্তু আমার কাছে এককথায় ফেরেশতা ভাইয়া।” – কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন শহীদ নাজমুলের স্ত্রী মারিয়া সুলতানা আঁখি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি আবেগঘন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তিনি তার অসহায়ত্বের কথা এবং পিনাকী ভট্টাচার্যের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, মারিয়া সুলতানা তার শিশুকন্যাকে নিয়ে কথা বলছেন। তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর যখন তিনি অসহায় হয়ে পড়েছিলেন এবং আশ্রয় হারানোর ভয়ে ছিলেন, তখন অনেকেই তার পাশে এসে দাঁড়াননি। তিনি বলেন, “আমার পাশে তো সর্বপ্রথম আসার দরকার ছিল উপদেষ্টাদের কাছে। উপদেষ্টারা আসবে, পাশে থাকবে। থাকে নাই।”
তিনি আরও বলেন, বাসা ছেড়ে দেওয়ার উপক্রম হলে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং মেয়েকে বলছিলেন যে তাদের আর কোনো বাড়ি নেই। এই চরম দুঃসময়ের মধ্যে ফ্রান্স থেকে পিনাকী ভট্টাচার্য তাকে ফোন করেন। মারিয়া বলেন, “তখন আমি উনাকে চিনতাম না।” পিনাকী ভট্টাচার্য তাকে আশ্বাস দেন এবং বলেন, “আমি যতদিন বাঁচব, আমি নুজাইরার দায়িত্ব নেব।”
মারিয়া সুলতানা জানান, এই ফোনের দুই দিনের মধ্যেই পিনাকী ভট্টাচার্য তাদের জন্য বাসার ব্যবস্থা করেন এবং বাসা ভাড়াসহ সমস্ত দায়িত্ব নেন। তিনি বলেন, “আমি আল্লাহর কাছে একজন ফেরেশতারে চাইছিলাম, আল্লাহ সম্মানস্বরূপ বাবারূপে ঐ ফেরেশতারে আমার কাছে পাঠাইছে।”
আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, আত্মহত্যা মহাপাপ, তা না হলে হয়তো তার মতো অনেক মেয়েই এমন পরিস্থিতিতে জীবন শেষ করে দিত। তিনি জানান, শুধু তিনি নন, তার মতো আরও অনেক অসহায় পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য।
এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং অনেকেই মারিয়া সুলতানা ও তার সন্তানের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং পিনাকী ভট্টাচার্যের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
Leave a Reply