সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আশাব্যঞ্জক খবর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সাড়ে ৬ হাজার শূন্য প্রধান শিক্ষক পদে শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভোগা বিদ্যালয়গুলোতে কিছুটা স্বস্তি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. ইউনূস আরও জানান, সব স্কুলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বসানো হয়েছে এবং যেসব এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, সেখানে সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। পাশাপাশি নতুন স্কুল ভবন নির্মাণে নারী স্থপতিদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুধু অবকাঠামোই নয়, শিক্ষাদান পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দেশব্যাপী মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০টি স্কুলে ২০২৫ সালের মধ্যেই ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। ঢাকাসহ বড় শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে এসব অঞ্চলে শিক্ষাদান করবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে অনুমোদিত প্রধান শিক্ষক পদের সংখ্যা ৬৫,৫০২টি। এর মধ্যে শূন্য রয়েছে ৩৪,১০৬টি পদ। এর মধ্যে ২,৬৪৭টি পদ সরাসরি নিয়োগযোগ্য, যার মধ্যে ২,৩৮২টি পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই প্রকাশ পাবে।
অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে ৩১,৪৫৯টি শূন্য পদ পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে, তবে এটি একটি চলমান সিভিল আপিল মামলা নিষ্পত্তির ওপর নির্ভর করছে।
এই ঘোষণা দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য যেমন স্বস্তির, তেমনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
FAQ:
প্রশ্ন: কতটি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে?
উত্তর: সাড়ে ৬ হাজার প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রশ্ন: এই পদগুলোতে নিয়োগ কিভাবে হবে?
উত্তর: সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতির মাধ্যমে।
প্রশ্ন: প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল কত?
উত্তর: ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে।
প্রশ্ন: কবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে?
উত্তর: খুব শিগগিরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
Leave a Reply