free tracking

টাইগার কোচদের বেতন শুনলে চমকে যাবেন!

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সের পেছনে কোচিং স্টাফদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাঠের বাইরে থেকে যিনি দলকে গড়েন, তাদের পারিশ্রমিকও হয় যথেষ্ট আলোচনার বিষয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদের কোচিং প্যানেলের বেতন কাঠামো প্রকাশ করেছে, যেখানে ফিল সিমন্স থেকে শুরু করে দেশি কোচ সালাউদ্দিন পর্যন্ত অনেক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞ ফিল সিমন্স। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তি রয়েছে। তার জন্য প্রতি মাসে বোর্ড ব্যয় করছে প্রায় ৩০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এটি দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো কোচকে দেয়া সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকগুলোর একটি।

বিদেশি বিশেষজ্ঞ কোচদের মধ্যে অন্যতম হলেন শেন টেইট। এই অস্ট্রেলিয়ান সাবেক পেসার বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং কোচ হিসেবে প্রতি মাসে পাচ্ছেন ১৭ লাখ ২২ হাজার টাকা। অন্যদিকে, ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জেমস পেমেন্ট পাচ্ছেন ১৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে পাকিস্তানের কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদের পারিশ্রমিক পদ্ধতিতে রয়েছে ভিন্নতা। তিনি চুক্তিভিত্তিকভাবে সিরিজ বা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিদিন পাচ্ছেন ৮৬ হাজার ১০০ টাকা করে।

বিদেশিদের ভিড়ে সবচেয়ে বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন দেশি কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সাফল্য দেখানো এই কোচ বর্তমানে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তার চুক্তি ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি তার বেতন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। যদিও তা বিদেশি কোচদের তুলনায় কম, তবুও স্থানীয় কোচদের মধ্যে এটি অন্যতম সর্বোচ্চ।

সবমিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, শুধু খেলোয়াড়দের নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে কোচিং স্টাফদের পেছনেও বিসিবি করছে বিশাল বিনিয়োগ। সেই বিনিয়োগ কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *