ট্রলারবোঝাই করে চাঁদপুরে আসা সাগরের ইলিশ স্থানীয় নদীর ইলিশের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে স্থানীয় পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশের দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে শহরের বড়স্টেশন মাছঘাটে গেলে ইলিশের দরদাম সম্পর্কে এ তথ্য উঠে আসে।
মাছঘাটের শান্তি ফিশ মৎস্য আড়তের পরিচালক সম্রাট বেপারী জানান, মানুষের চাহিদা মেটানোর মতো পদ্মা-মেঘনার ইলিশ এখনো মিলছে না নদীতে। তাই কেজিপ্রতি ২৫শ-২৬শ টাকাতেই পূর্বের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে হাতিয়া থেকে বরফযুক্ত ফিশিং ৩টি ট্রলারে করে প্রায় ৪শ মণের মতো ইলিশ ঘাটে এসেছে। এই ট্রলারগুলো হলো গফুর জমাদ্দার, মালেক খন্দকার ও আনোয়ার জমাদারের। এ ছাড়াও পিকআপে করেও কিছু সাগরের ইলিশ এসেছে। যেগুলো ৩টা মাছ একত্রে করলে ১ কেজি ২শ গ্রাম হয়। এগুলোই মণ প্রতি ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলত সাগরের ইলিশ ঘাটে আসতে শুরু করায় ইলিশ মাছের আমদানি কিছুটা বেড়েছে।
সদরের হরিণা ফেরীঘাটের মৎস্য আড়তের জেলে জলিল রাঢ়ি ও আবু হানিফ জানান, আমরা কখনই ইলিশের দাম বাড়াই না। জেলে থেকে আড়তদার, এরপর পাইকার, পরিবহন ও কমিশন অর্থাৎ হাত বদলে বাড়ছে ইলিশের দাম। তার ওপর পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশ সুস্বাদু হওয়ায় এবং কম পাওয়া যাওয়ায় এর দাম সবসময়ই বেশি রাখা হয়। এখানে জেলেদের কোনো হাত নেই। বরং আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীতে থেকে তেলের পয়সা উঠানোর মতো মাছও অনেক সময় পাই না।
ক্রেতা মিজান বলেন, ইলিশ প্রাকৃতিক মাছ। এটা নদীতে উৎপাদনে কোনো খরচ লাগে না। তাহলে এতো দাম রাখার কারণ যদি সিন্ডিকেট ও হাত বদলের জন্যই হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন থেকেই এর দাম নির্ধারণ করা জরুরি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহসীন উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ইলিশের মূল্য নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। তা যাচাই-বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত আসবে প্রত্যাশা করছি। তবে আমরা কোনো বাজারে নির্দিষ্ট কোনো সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে দাম নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply