নামাজের সময় অনেক মুসলিমই মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। নানা চিন্তা, শয়তানের ওসওয়াসা এবং দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার কারণে প্রার্থনার মধ্যে একাগ্রতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নামাজে মনোযোগ হারানোর পেছনে শয়তানের এক বিশেষ গোত্র ‘ইখতিলাস’-এর কাজ থাকে, যারা মানুষের মনকে বিভ্রান্ত করে আল্লাহর সাথে প্রার্থনার নিবিড় সম্পর্ক থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
শয়তানের এই ওসওয়াসা থেকে মুক্তি পেতে কিছু বিশেষ অনুশীলন গ্রহণ করা জরুরি। নামাজ শুরু করার আগে এবং নামাজের মধ্যে “আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম” উচ্চারণ করা এবং রূপক অর্থে শয়তানের প্রতি থুতু নিক্ষেপ করার ভাব প্রকাশ করা নামাজের মনোযোগ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি ঠিক যেমন আমরা হজ্জের সময় জামারাতে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করি, ঠিক তেমনিভাবে মনোযোগ নষ্টকারী শয়তানের প্রতি রূপক প্রহার করা হয়।
নামাজের সময় মনোযোগ হারালে অনেকেই চিন্তা করেন হারানো জিনিস বা জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি নিয়ে, যা আসলে শয়তানের ছলনা। মনোযোগ ফেরাতে নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে এক থেকে তিন দিনের মধ্যে নামাজে মনোযোগ অনেকাংশে বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, নামাজের মধ্যেই আল্লাহর দিকে মনোযোগী হওয়া এবং নিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রার্থনায় নিবেদিত করার জন্য এই ধরনের মানসিক প্রস্তুতি অপরিহার্য। ফলে নামাজের আসল স্বাদ এবং তাৎপর্য অনুভব করা সম্ভব হয়।
অতএব, নামাজে মনোযোগ ধরে রাখতে হলে শয়তানের ওসওয়াসা থেকে সাবধান থাকা, নিয়মিত ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ উচ্চারণ করা এবং রূপক অর্থে শয়তানের প্রতি প্রতিবাদ প্রকাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে নামাজের মধ্যেই আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি এবং ইবাদতের পূর্ণ ফায়দা ভোগ করতে সক্ষম হই।
Leave a Reply