free tracking

ব্রেনস্ট্রোক হলে বুঝবেন কীভাবে? এই তিনটি লক্ষণ সবার আগে বোঝা যাবে…

মস্তিষ্ক সম্পর্কিত সব সমস্যাই ক্ষতিকারক। কিন্তু অনেক সময়ই সমস্যাগুলো বুঝে ওঠা যায় না। ব্রেন টিউমার অর্থাৎ মস্তিষ্কের কোষগুলি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া। যখন মস্তিষ্কে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বাড়তে থাকে, একটা ঢিবির মতো পরিস্থিতি হয়। ক্রমে তা টিউমারের রূপ নেয়। এই টিউমার ব্রেনের অন্যান্য অংশেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে। যে কারণে শারীরীক এবং মানসিক দুই সমস্যাই হতে পারে। ব্রেন টিউমারের নানা কারণ থাকতে পারে। সেটা জেনেটিক ফ্যাক্টর, এক্সরে-র রেডিয়েশনের সঙ্গে অতিরিক্ত সম্পর্কের কারণেও হতে পারে। দ্রুত তা বুঝতে পারলে, চিকিৎসায় দেরি করা উচিত নয়।

ব্রেন স্ট্রোক প্রসঙ্গে আসা যাক। অনেক সময়ই ব্রেন স্ট্রোক হলে তা বোঝা যায় না। তবে নিউরোসার্জারির চিকিৎসক ডা. দলজিৎ সিং এ বিষয়েই খোলসা করেছেন। ব্রেন স্ট্রোক একটি মেডিক্যাল এমার্জেন্সি হিসেবেই বলছেন। প্রত্যেকটা সেকেন্ড এখানে সতর্কতার প্রয়োজন। ব্রেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন না পৌঁছলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রেনের কোষের মৃত্যু হতে থাকে। তাই শুরুর দিকে উপসর্গগুলিতে নজর রাখা প্রয়োজন।

এর অন্যতম উপসর্গ, মুখমণ্ডল একদিকে বেঁকে যাওয়া। কেউ হয়তো মুখের দু-দিক দিয়ে হাসতে পারছেন না, শুধুমাত্র একদিক থেকেই হাসি বেরোচ্ছে, সেটাও একটি উপসর্গ। কারণ, চোখ এবং ঠোঁটে সমস্যার জন্য় এমনটা হতে পারে। ব্রেন স্ট্রোকের কারণে, মুখের এই অংশে প্রভাব পড়ে। যে কারণে তা একদিকে বেঁকে যেতে পারে।

হাত এবং পায়ে দুর্বলতা অনুভব করাটাও অন্যতম লক্ষণ। কোনও একটা হাত কিংবা পা অসাড় হয়ে পড়ে। বিশেষত শরীরের একপাশেই সমস্য়াটা দেখা যায়।

কথায় জড়তা আসাও এর অন্যতম লক্ষণ। যা বলার চেষ্টা করছেন, স্পষ্ট উচ্চারণে বলতে না পারার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।

এই লক্ষণ দ্রুত বোঝার জন্য FAST টেকনিকের ব্য়বহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ Face-মুখের হাসি ঠিক রয়েছে কি না, Arms-দুটো হাত সমান ভাবে তুলতে পারছেন কি না, অবশ্য়ই পরীক্ষা করে দেখতে হবে নিয়মিত। Speech-বলার ক্ষেত্রে জড়তা আসছে কি না। Time-যদি এই উপসর্গগুলোর কোনওটা নজরে পড়ে, সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

https://tv9bangla.com/health/brain-stroke-early-symptoms-in-body-know-from-expert-1228543.html?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *