অর্থ অভাবে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ যাতে ব্যাহত না হয় তারই ধারাবাহিকতায় সরকার গর্ভবতী মায়ের জন্য সরকারি ভাতা প্রদানের প্রচলন করেন। বাংলাদেশ সরকার মাসিক ৮০০/- হারে প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর করে ৪ বার বা ২৪ মাস ভাতা প্রদান করে থাকে। যদি আপনি এ ভাতা প্রাপ্য বা ভাতার প্রাপ্তির যোগ্য হয়ে থাকে তবে এ পোস্টটি আপনার জন্য। নিচের তথ্যগুলো ভাল ভাবে জেনে বুঝে ইউনিয়য়ন পরিষদে আবেদনের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা পেতে পারেন-গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা ২০২৫
গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন যোগ্যতা ২০২৫
গর্ভবতী ভাতা বা দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী আপনি ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য নিমোক্ত ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হবে। নিম্নের যোগ্যতা বা অবস্থা বিবেচনা করে আপনাকে ভাতার জন্য নির্বাচন করা হবে। ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন ফরম .pdf ডাউনলোড
ক. প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল (যেকোনো একবার)
খ. বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে
গ. মোট মাসিক আয় ২,০০০/- টাকার নিম্নে
ঘ. দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা অগ্রাধিকার পাবেন
ঙ. কেবল বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বাস করে
চ. নিজের বা পরিবারের কোনো কৃষি জমি, মৎস্য চাষের জন্য পুকু নেই
ছ. উপকারভোগী নির্বাচনের সময় অর্থাৎ জুলাই মাসে উপকারভোগীকে অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে
জ. প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের ২ (দুই) বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভধারণকালে ভাতা প্রাপ্য হবেন
ঝ. একজন ভাতাভোগী জীবনে একবার ২ (দুই) বছর সময়কালের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা পাবেন
ঞ. কোনো কারণে সন্তানের মৃত্যু হলে অথবা গর্ভপাতের কারণে নির্দিষ্ট চক্র অসম্পূর্ণ থাকলে তিনি পুনরায় গর্ভবতী হলে পরবর্তীতে ২ (দুই) বছরের মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন, যদি অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়ে থাকে
উপরে বর্ণিত শর্তসমূহের মধ্যে কেউ ক, খ ও ছ সহ কমপক্ষে ৫ (পাঁচ)টি শর্ত পূরণ করলে তার নাম প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে এবং অধিকতর দরিদ্র অগ্রাধিকার পাবেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবেদনকারীর তথ্য MIS অনলাইন সফটওয়্যারে এন্ট্রি করবেন। অনলাইনে আবেদন লিংক: 103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration
ভাতা ভোগী নির্বাচনের আবশ্যকীয় শর্তাবলী
১। ভাতাভােগীর বয়স ২০-৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
২। প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভাবস্থা হতে হবে।
৩। ভাতাভােগীকে জুলাই/২০২৫খ্রিঃ এ ৪-৬ মাসের গর্ভবতী থাকতে হবে।
৪। আবেদন পত্রের সহিত ছবি ৩কপি,নাগরিকত্বের সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
৫। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ অথবা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক গর্ভবতী/প্রসুতি প্রত্যয়ন পত্র-১ কপি।
৬। প্রত্যক উপকারভােগীর নিজ পছন্দের ও নিজ নামের ডিজিটাল অনলাইন ব্যাংক/এজেন্ট ব্যাংক/ মােবাইল ব্যাংক হিসাব নম্বর ও মােবাইল নম্বর অবশ্যই থাকতে হবে।
গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৫
বাংলাদেশ সরকার মাসিক ৮০০/- হারে প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর করে ৪ বার বা ২৪ মাস ভাতা প্রদান করে থাকে। অনলাইনে অনুমোদন করা হয়। অফলাইনের আবেদন এবং আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত কাগজপত্রাদি অনুসারে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদ হতে আবেদনকারীদের তথ্য ও আবেদন সংগ্রহ করে এবং চেয়ারম্যানের নিকট হতে স্বাক্ষর ও সীল গ্রহণ করেন এবং উপজেলা কমিটির সদস্য সচির কাগজপত্রাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং উপজেলা কমিটির সভাপতি আবেদনে মঞ্জুরী প্রদান করেন।
গর্ভবতী ভাতার আবেদন ফরম ২০২৫
দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা মঞ্জুরীর জন্য আবেদন করা উপজেলা কমিটি বরাবর। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা কমিটি সদস্য সচিব ও সভাপতি এ সংক্রান্ত আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে মঞ্জুরী আদেশ দেন। গর্ভবতী ভাতার আবেদন ফরম এখান থেকেই সংগ্রহ করতে পারেন। গর্ভবতী ভাতার আবেদন ফরম ২০২৩ : ডাউনলোড
অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম ২০২৫
নির্ধারিত ফরমে আবেদনের পর অবশ্যই নিম্নোক্ত ফরম মহিলা ও শিশু বিষয়ক কেন্দ্রে তথ্য এন্ট্রি নিশ্চিত করতে হবে।
শিশু ভাতা ২০২৫ এমআইএস অনলাইন এন্ট্রি সফটওয়্যার
নির্বাচিত ভাতাভোগীর তথ্যাবলী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অনলাইন ডাটাবেজ এন্ট্রি করতে হবে। মাতৃত্বকাল ভাতা কর্মসূচী MIS এ এন্ট্রি না হলে কোন ভাবে এ ভাতা প্রাপ্য হবে না। কর্তৃপক্ষ যে কোন অসম্পূর্ণ আবেদন বা অযোগ্য বিবেচিত আবেদন বাতিল করতে পারেন। উপকার ভোগী নির্বাচন সংখ্যা দেখুন।
মাতৃত্বকালীন ভাতা কয়টি সন্তানের জন্য পাওয়া যায়?
মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তানের জন্য পাওয়া যায় তবে কিছু ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তৃতীয় সন্তানের জন্যও ভাতা পাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে। এই ভাতা সাধারণত দরিদ্র মায়েদের জন্য সরকারের একটি সামাজিক সুরক্ষা প্রোগ্রাম. এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, যাতে তাদের এবং তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকে নজর রাখা সহজ হয়।
Leave a Reply