২০২৫ সালের জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশের দলিল রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে দেশের সকল জায়গায় একযোগে দলিল রেজিস্ট্রেশন এবং পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এদিকে, ভূমি মালিকদের দলিল সংগ্রহ ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় আর কোনো হয়রানি হবে না বলে জানানো হয়েছে।
জমির মালিকানা নিশ্চিতকরণে দলিলের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে পূর্বে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ভুল খতিয়ান বা অবৈধ দলিলের কারণে মালিকানা নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। নতুন নিয়মে দলিল রেজিস্ট্রেশনের আগে এবং পরে বেশ কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
মূলত, দলিল বাতিল হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
খতিয়ান মিল না থাকা বা ভুয়া খতিয়ান ব্যবহার,
বৈধ মালিকের সম্মতি ছাড়া জমি বিক্রি,
পৈতৃক সম্পত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে সকল ওয়ারিশের সম্মতি না থাকা,
জমির দাগ নাম্বার, পরিমাণ ও মালিকানার ভুল তথ্য,
স্টাম্প ও রেজিস্ট্রেশন ফি অনুপস্থিতি,
রেজিস্ট্রি অফিসে যথাযথ সাক্ষীর অনুপস্থিতি।
সরকারিভাবে অনুমোদিত আইনজীবী ও সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে জমির তথ্য যাচাই এবং স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে সর্বশেষ খতিয়ান সংগ্রহ করাও বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া দলিলে যোগাযোগের নম্বর সংযুক্ত করার মাধ্যমে মালিকদের দলিল গ্রহণের সময় এবং আপডেট জানানো হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই দলিল সংক্রান্ত হয়রানি কমাতে ও মালিকানার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে।
এছাড়া, আদালতের নিষেধাজ্ঞা, রেভিনিউ স্থগিতাদেশ, খাস জমি বা সংরক্ষিত এলাকা ও কৃষি জমি ইত্যাদির দলিল রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকবে।
ভূমি কেনাবেচায় আইনগত সতর্কতা অবলম্বন না করলে দলিল বাতিল হতে পারে এবং মালিকানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
Leave a Reply