free tracking

চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর নয়—এই দেশটি হতে যাচ্ছে এশিয়ার নতুন টাইগার!

ভিয়েতনাম এশিয়ার নতুন “টাইগার অর্থনীতি” হতে চায় এবং ২০৪৫ সালের মধ্যে ধনী দেশের কাতারে উঠতে অর্থনৈতিক কাঠামো বদলাচ্ছে। হ্যানয়ে কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান তো লাম উন্নয়নের “নতুন যুগ” ঘোষণা করেছেন, যা দেশের সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে বড় সংস্কারের সূচনা।

গত কয়েক দশকে রপ্তানিনির্ভর প্রবৃদ্ধি ভিয়েতনামকে দারিদ্র্য থেকে তুলেছে। তবে সস্তা শ্রমের সুবিধা কমছে, জলবায়ু ঝুঁকি ও বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য উত্তেজনা বিনিয়োগ বাড়ালেও, মার্কিন শুল্ক ভিয়েতনামকে নতুন কৌশল নিতে বাধ্য করেছে।

চীনের মতো, তারা এখন উচ্চ প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সবুজ জ্বালানি ও অবকাঠামোতে বড় বিনিয়োগ করছে—যেমন ৬৭ বিলিয়ন ডলারের উত্তর–দক্ষিণ উচ্চগতির রেল প্রকল্প। হো চি মিন সিটি ও দা নাং-এ বিশেষ আর্থিক কেন্দ্র গড়ে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পরিকল্পনা আছে।

বেসরকারি খাতকে অর্থনীতির “প্রধান শক্তি” ঘোষণা করে, স্থানীয় কোম্পানিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তোলার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের প্রভাব কমানো ও নীতি সংস্কারে রাজনৈতিক বাধা আছে।

জলবায়ু পরিবর্তনও বড় চ্যালেঞ্জ—বিশ্বব্যাংকের মতে, পদক্ষেপ না নিলে ২০৫০ সালের মধ্যে জিডিপির ১২–১৪.৫% হারাতে পারে। এ ছাড়া ২০৩৯ সালের পর “সোনালি জনসংখ্যা”র সময়কাল শেষ হবে, যা শ্রমশক্তি ও উৎপাদনশীলতার ওপর চাপ ফেলবে। এজন্য অবসরের বয়স বাড়ানো, নারীদের কর্মক্ষেত্রে আনা ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *