free tracking

১১ বছর আগে মারা যাওয়া স্বামীই সন্তানের বাবা, দাবি অন্তঃসত্ত্বার!

ভারতের এক নারী দাবি করেছেন, ১১ বছর আগে মারা যাওয়া স্বামী নিয়মিত স্বপ্নে আসতেন এবং সেই ‘স্বপ্ন-সম্পর্ক’ থেকেই তিনি গর্ভধারণ করেছেন। কয়েক মাস আগে শারীরিক অসুস্থতার পরীক্ষায় গর্ভধারণ ধরা পড়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৌতূহল ও বিতর্ক চলছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকাল ইন।

ওই নারীর দাবি, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি একাই থাকছিলেন এবং অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াননি। বহুদিন ধরে স্বামী স্বপ্নে এসে গল্প করা, একসঙ্গে খাওয়াসহ সময় কাটাতেন; এ সময়েই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন বলে তার বক্তব্য।

বিষয়টি সামনে আসতেই কেউ একে ‘অলৌকিক’ বলছেন, আবার কেউ সম্পূর্ণ অবিশ্বাস্য মনে করছেন। সত্যতা যাচাইয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করার দাবিও উঠেছে।

এদিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, গর্ভধারণের জন্য নারীর ডিম্বাণুর সঙ্গে পুরুষের শুক্রাণুর মিলন অপরিহার্য। সেটি স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে বা সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি (যেমন আইভিএফ) দিয়ে সম্ভব। কেবল স্বপ্ন বা আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতায় গর্ভধারণের কোনো প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাই এ ধরনের দাবির ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রমাণ জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, বিশ্বে মৃত স্বামীর সংরক্ষিত শুক্রাণু ব্যবহার করে আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার একাধিক দৃষ্টান্ত আছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৫ সালে লরা অরিকো নামে এক নারী স্বামীর মৃত্যুর ১০ বছর পর তারই সংরক্ষিত শুক্রাণু ব্যবহার করে গর্ভধারণের খবর জানান। এ ছাড়া ভারতে (কেরালা) এক নারী স্বামীর মৃত্যুর এক বছর পর সংরক্ষিত শুক্রাণু/ফ্রোজেন এমব্রিও ব্যবহার করে যমজ সন্তানের জন্ম দেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে ডায়ান ব্লাড-এর মামলায় মৃত স্বামীর শুক্রাণু ব্যবহারের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিক রায় হয়েছিল। এসব ক্ষেত্রে লিখিত সম্মতি ও সংরক্ষণের প্রমাণ ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *