ইউরিক অ্যাসিড এমন এক যৌগ যা শরীরে পিউরিন ভাঙার সময় তৈরি হয়। পিউরিন থাকে কিছু খাবারে যা শরীরে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয়। সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয়, তারপর কিডনিতে পৌঁছে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড শরীরে থেকেই যায় এবং বিভিন্ন স্থানে জমা হয়, যা পরবর্তীতে গাউট ও কিডনির পাথর-এর মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। মূলত মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হলে এই সমস্যা দেখা যায়। তাই ইউরিক অ্যাসিড শরীরে বেড়ে গেলে তাকে বাগে আনাটা জরুরি। ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। তবে কিছু শুকনো ফল আছে যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। ইউরিক অ্যাসিড কম্লে জয়েন্টে ব্যথা সহ অনান্য সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কোন কোন ফল সাহায্য করে?
১. কাঠবাদাম – কাঠবাদামে ম্যাগনেসিয়াম ও উদ্ভিজ প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে। যা জয়েন্টের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঠবাদামে পিউরিনের পরিমাণ কম, তাই ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকা ব্যক্তিদের জন্য এটি নিরাপদ। হাড়ের শক্তিও বাড়ায়।
২. আখরোট – আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা জয়েন্টের প্রদাহ এবং শক্তভাব কমাতে সাহায্য করে। এতে পিউরিন কম থাকায় শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হওয়ার থাকে না।
৩. পিস্তাবাদাম – পিস্তায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি৬ রয়েছে, যা সার্বিকভাবে জয়েন্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। এটি কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে ইউরিক অ্যাসিড কমায়, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে অত্যন্ত জরুরি।
৪. কাজুবাদাম – কাজুবাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্কের মতো খনিজ থাকে, যা জয়েন্টের নমনীয়তা বাড়ায়। এতে পিউরিনের মাত্রা মাঝারি হলেও, অল্প পরিমাণে খেলে ইউরিক অ্যাসিডের বিপাকক্রিয়া উন্নত হয় এবং প্রদাহ কমে।
৫. খেজুর – খেজুর প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি ফল। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ইউরিক অ্যাসিড জমা কমায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জয়েন্টের টিস্যুকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, ফলে দীর্ঘমেয়াদে চলাফেরার ক্ষমতা ভাল থাকে।
Leave a Reply