শরীরের সুস্থতা, চোখের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে ভিটামিন এ একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন এ-এর অভাব মানবদেহে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে কিছু দীর্ঘমেয়াদি এবং জটিলও হতে পারে।
* রাতকানা
ভিটামিন এ-এর অভাবের সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রাথমিক লক্ষণ হলো রাতকানা। এই অবস্থায় ম্লান আলো বা অন্ধকারে ঠিকমতো দেখা যায় না। সময়মতো চিকিৎসা না হলে এটি অন্ধত্বের দিকেও নিয়ে যেতে পারে।
* চুল ও নখ দুর্বল হওয়া
ভিটামিন এ চুল ও নখের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। এর ঘাটতি হলে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, নখ সহজেই ভেঙে যায় এবং ফাটল দেখা দেয়।
এই ভিটামিন চোখে স্বাভাবিকভাবে জল তৈরি ও সংরক্ষণে সাহায্য করে। এর ঘাটতি হলে চোখে শুষ্কতা, জ্বালাপোড়া এবং কর্নিয়ার ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে।
* ঘন ঘন সংক্রমণ
ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর অভাবে শরীর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে ঘন ঘন অসুস্থতা দেখা দেয়।
* হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া
ভিটামিন এ হাড়ের স্বাস্থ্যেও ভূমিকা রাখে। এর অভাবে হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে, ফলে ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে হাড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
* বন্ধ্যাত্ব
ভিটামিন এ প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি কমে যেতে পারে, আর নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক অনিয়ম এবং গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় এ ঘাটতি জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ভিটামিন এ-এর ঘাটতি রোধে লিভার, মাছের তেল, গাজর, ডিম, দুধ ও সবুজ শাকসবজি খাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি শিশু ও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এর পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, ভিটামিন এ-এর অতিরিক্ত গ্রহণও শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ঘাটতি বা অতিরিক্ততা উভয় ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
সূত্র: আজতাক বাংলা
Leave a Reply