ইন্টারনেটে ধীরগতি, ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে বারবার বাফারিং বা ঘরের কোনাকাঞ্চিতে ‘ডেড জোন’—এসব সমস্যার জন্য অনেকেই রাউটার বা ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার পেছনে দায়ী হতে পারে ঘরের সাধারণ কিছু জিনিসপত্রই।
আয়না, ধাতব আসবাব, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লুটুথ ডিভাইস কিংবা অ্যাকুয়ারিয়ামের মতো বস্তু ওয়াই-ফাই সিগনালকে প্রতিফলিত বা শোষণ করে গতি কমিয়ে দিতে পারে, সংকেত দুর্বল করে দিতে পারে। ফলে ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতা হয় বিরক্তিকর।
আয়না ও ধাতব বস্তু ওয়াই-ফাই সিগনাল প্রতিফলিত করে দুর্বল করে দেয়। আবার ব্লুটুথ ডিভাইস যেমন স্মার্ট স্পিকার বা গ্যাজেট একই ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে বলে সিগনালে বিঘ্ন ঘটায়। মাইক্রোওয়েভ ওভেন থেকে নির্গত তরঙ্গ সরাসরি ওয়াই-ফাইয়ের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে অ্যাকুয়ারিয়াম বা পানিভর্তি ট্যাংক সিগনাল শোষণ করে ‘ডেড জোন’ তৈরি করে। এছাড়া ভারী আসবাব ও মোটা দেয়াল রাউটারের সিগনাল আটকে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাধান একেবারেই সহজ। রাউটারকে ঘরের মাঝামাঝি খোলা জায়গায়, সম্ভব হলে একটু উঁচু স্থানে রাখতে হবে। আয়না, ধাতব বস্তু, ভারী আসবাব কিংবা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির কাছ থেকে রাউটার সরিয়ে রাখলেই সিগনালের গতি ও স্থিতিশীলতায় আসবে আশ্চর্যজনক পরিবর্তন।
এভাবে মাত্র কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ঘরের কিছু জিনিসের অবস্থান বদলালেই মিলতে পারে দুর্দান্ত ওয়াই-ফাই অভিজ্ঞতা—দ্রুততর ডাউনলোড, স্মুথ ভিডিও স্ট্রিমিং, নিরবিচ্ছিন্ন ভিডিও কল এবং ল্যাগমুক্ত গেমিংয়ের সুযোগ।
Leave a Reply