অলসভাবে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু এই অলসতা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। তাছাড়া অলস ব্যক্তি কখনো জীবনে উন্নতি করতে পারে না। জীবনের লড়াইয়ে সবসময় সে পিছিয়ে থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, অলসতা সবসময় ইচ্ছাকৃত নয়—অনেক সময় মানসিক সমস্যা বা অসুস্থতার কারণেও হয়ে থাকে।
মূলত দুই ভিটামিনের অভাবে এমন হয়-
শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-এর সঠিক মাত্রা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই দুই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে নানান শারীরিক ও মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।
অন্যদিকে, ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি অনিদ্রা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, বিভিন্ন মানসিক রোগের ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি হাত-পা কাঁপা, পেশিতে টান ধরা, অসাড়তা ও মাথা ঘোরা সৃষ্টি করতে পারে।
আর আলস্য কাটাতে হলে জীবনযাপনে কিছু প্রয়োজনীয় বদল আনতে হবে। সে জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া, রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম এবং প্রতিদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চাও জরুরি।
ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-এর প্রধান উৎস
ভিটামিন ডি-এর উৎস
সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, সার্ডিন, টুনা)
ডিমের কুসুম
গরু/গাভীর দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ফোর্টিফায়েড খাবার (যেমন: সিরিয়াল, কমলার জুস)
ভিটামিন বি১২-এর উৎস
মাংস (গরু, খাসি, মুরগি)
মাছ ও সামুদ্রিক খাবার (স্যামন, টুনা, সার্ডিন)
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (চিজ, দই)
লিভার ও কিডনি জাতীয় অঙ্গ মাংস
ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ ফোর্টিফায়েড সিরিয়াল
ভিটামিন ডি সূর্যালোক থেকে সহজেই পাওয়া যায়, তবে ভিটামিন বি১২ মূলত প্রাণিজ খাবার থেকে পাওয়া যায়। তাই নিরামিষভোজীদের জন্য বি১২ সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে।
Leave a Reply