ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের দীর্ঘতম ও একমাত্র নৌযান চলাচলের উপযোগী নদী কারুন এবার মারাত্মক অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। খরা, প্রবাহ হ্রাস, রাসায়নিক দূষণ ও জলাভূমি ধ্বংসের ফলে অদূর ভবিষ্যতে নদীর একটি বড় অংশ বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
নদীর এই সংকটের পেছনে বাঁধ নির্মাণ, অপরিকল্পিত পানি ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ বিধ্বংসী কৃষি কার্যক্রমকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জলাভূমি বাস্তুতন্ত্র ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ আলী আরভাহি ইরান ইন্টারন্যাশনালকে জানান, কারুন ও গোতভান্দের মতো বড় বাঁধ নির্মাণ, ইন্টার-বেসিন পানি স্থানান্তর এবং খুজেস্তানে আখ ও ধানের মতো উচ্চ পানিনির্ভর ফসলের চাষ—এই তিনটি কারণেই নদীটি চরম হুমকিতে পড়েছে।
বাড়ছে বায়ু দূষণও
বায়ু মান সূচক অনুযায়ী, ১০০’র ওপরে যেকোনো স্কোর জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর বসবাস অনিরাপদ।
জলবায়ু সংকট ও জাতীয় চ্যালেঞ্জ
গত এক বছরে ইরানে গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে এবং বৃষ্টিপাত ৪৫% হ্রাস পেয়েছে, যা মরুকরণকে ত্বরান্বিত করেছে।
ইরানের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত কারুন
৯৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ কারুন নদী জাগ্রোস পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হয়ে খুজেস্তান পেরিয়ে পারস্য উপসাগরে পতিত হয়। এটি কেবল পরিবেশ নয়, বরং ইরানের অর্থনীতি, কৃষি ও সমাজব্যবস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
Leave a Reply