free tracking

‘সেনাবাহিনীর টার্গেটে আসিফ মাহমুদ’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীবকে ঘিরে সম্প্রতি বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত, বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি।

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের অভিযোগ:

প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে আসিফ মাহমুদকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, আসিফ মাহমুদ সেনাবাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।

ইলিয়াস তার পোস্টে লেখেন, “আর্মির টার্গেট আসিফ মাহমুদ। বাংলাদেশে একমাত্র আসিফ মাহমুদ সজীবের মন্ত্রণালয়ে প্রজেক্ট পাশ হয়, টেন্ডার হয় এবং দুর্নীতি হয়। বাদবাকি সব মন্ত্রণালয়ে আল্লাহ নিজে প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেন। কোথাও কোনো টেন্ডার হয় না, দুর্নীতি হয় না।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি চলমান থাকলেও সব দায় কেবল আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপানো হচ্ছে। তার মতে, আসিফ মাহমুদকে বারবার বিতর্কিত করতে ডিজিএফআই (প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর) ষড়যন্ত্র করছে।

পাঠ্যপুস্তক বিতর্ক এবং নতুন ষড়যন্ত্র:

সম্প্রতি আসিফ মাহমুদ ঘোষণা দেন যে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঠ্যপুস্তকে শেখ হাসিনাকে “গণহত্যাকারী” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই ঘোষণার পরদিন থেকেই তাকে ঘিরে নতুন করে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইলিয়াস হোসেন বলেন, “লক্ষ্য করলে দেখবেন, আসিফ মাহমুদ যখনই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেন, ঠিক পরদিনই তাকে ঘিরে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়।” তিনি গোয়েন্দা সংস্থাকে এই ধরনের অপতৎপরতার জন্য দায়ী করেন।

সার্বিকভাবে, আসিফ মাহমুদ সজীবকে কেন্দ্র করে চলমান বিতর্ক এবং এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *