নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রবেশদ্বারে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কে হেনস্তার চেষ্টা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে তিনি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেন:“মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা প্রতিবাদ—এসব গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সুরক্ষিত অধিকার। তবে এসব অধিকারকে শ্রদ্ধাবোধ ও দায়িত্বের সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে।”
তিনি এ ঘটনাকে প্রাসঙ্গিক করে লিখেছেন:“নিউইয়র্কেও একই আচরণ প্রর্দশিত হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝায় যে, কেন বাংলাদেশে এই দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে—কারণ তারা জনমনে ভীতি ছড়ায়গুলো এবং ধ্বংসাত্মক আচরণ করে।”
শফিকুল আলম সংযোজন করেন:“সহিংসতা কোনো প্রতিবাদের উপায় নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে ভয় দেখানো নয়। গণতন্ত্র মানে বিশৃঙ্খলা নয়। শালীনভাবে প্রতিবাদ করুন—শত্রুতার বদলে মর্যাদার সাথে।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন:“এ অধিকারগুলি আমাদের অর্জিত হয়েছে শহীদদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে—এই মূল্য-অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।”
ঘটনাটি ঘটেছে কনস্যুলেটে প্রবেশের সময়, যেখানে মাহফুজ আলমের উদ্দেশ্যে বিরোধী আচরণ প্রর্দশিত হয় বলে অভিযোগ। ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়।
এই ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক উত্তাপের প্রতিফলন, যা প্রবাসী রাজনীতিকদেরও প্রভাবিত করছে। প্রেস সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক অবস্থানই গণতন্ত্রের সত্যিকার আগ্রগতি নিশ্চিত করতে পারে।
Leave a Reply