কোলন ক্যানসার, যা ক্যানসারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ, তরুণদের মধ্যেও ক্রমবর্ধমানভাবে দেখা যাচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বোর্ড-সার্টিফায়েড গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড. সৌরভ সেতি বলেছেন, এই রোগ প্রাথমিকভাবে প্রায়ই নিঃশব্দে শুরু হয়। তবে সময়মতো শনাক্ত হলে ৫ বছরের বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশ।
ড. সেতি ৮টি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা চিহ্ন উল্লিখিত করেছেন, যা রোগীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে:
মলতে রক্ত দেখা: মল উজ্জ্বল লাল বা গাঢ় কালো এবং টারির মতো হলে তা কোলনের রক্তপাতের ইঙ্গিত হতে পারে। অনেকেই হেমোরয়েড ভেবে এটি উপেক্ষা করেন, কিন্তু পুনরাবৃত্ত রক্তপাত হলে ডাক্তার দেখানো জরুরি।
দীর্ঘস্থায়ী পায়খানা পরিবর্তন: কয়েক দিনের বেশি স্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা পায়খানার পাতলা হওয়া সতর্ক সংকেত।
পেটের ব্যথা বা ক্র্যাম্পিং: পেট ফোলা, ক্র্যাম্প বা ব্যথা প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়, তবে নতুন বা অজানা সমস্যায় চিকিৎসকের পরীক্ষা জরুরি।
অব্যখ্যাত ওজন কমে যাওয়া: ডায়েট বা জীবনধারার পরিবর্তন ছাড়া হঠাৎ ওজন কমা পুষ্টি শোষণের সমস্যা বা কোলন ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে।
অব্যাহত ক্লান্তি: যথেষ্ট বিশ্রামের পরেও সবসময় ক্লান্ত থাকা। এটি দীর্ঘমেয়াদী রক্তক্ষয় ও অ্যানিমিয়ার কারণে হতে পারে।
অজানা আয়রন-ঘাটতি অ্যানিমিয়া: ল্যাব রিপোর্টে আয়রন কম থাকা, বিশেষ করে পুরুষ বা রূপান্তরিত নারীদের ক্ষেত্রে, কোলন ক্যানসারের প্রাথমিক সতর্কতা হতে পারে।
পায়খানা সম্পূর্ণভাবে খালি না হওয়ার অনুভূতি: বায়োলজিক্যাল ব্লক বা টিউমারের ইঙ্গিত।
পরিবারে কোলন ক্যানসারের ইতিহাস: যদি পরিবারের কেউ কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে, রোগীর ঝুঁকি অনেক বেশি। এই ক্ষেত্রে উপরের কোনো লক্ষণ দেখলেই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
ড. সেতি সতর্ক করেছেন, “লক্ষণ দেখা দিলে দেরি করবেন না। স্ক্রিনিং করান। কোলোনোস্কোপি জীবন বাঁচায়।”
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
Leave a Reply