‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের হাতে অস্ত্র দেন। আমরা আবারও ১৯৭১ সালের মতো জামায়াত-শিবির রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে চাই। আজ থেকে দেশের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মাঠে থাকবে। ’
কথাগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের। শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজ গেট এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানরা ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ এসব কথা বলেন।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় একই রকম তথ্য দিয়ে বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পাশাপাশি, জামায়াত-শিবির রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি। সেই সময় আবার এসে গেছে। আবারও এই দেশে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রয়োজন হয়েছে। আমরা আবারও হাতে অস্ত্র নিয়ে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের হাতে আবারও অস্ত্র তুলে দিন। আমরা আবারও দেশকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সেনাপ্রধান ও মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল হারুনুর রশীদ (বীর প্রতীক) বলেন, আমরা এদেশকে জামাত শিবির মুক্ত করতে আবারও মাঠে নেমেছি। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে যে কোনো প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে আবারও ঝাঁপিয়ে পড়বো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বলেন, সারাদেশে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা প্রতিটি থানায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মাঠে থাকবে। আমাদের দেশকে জামায়াত-শিবিরের হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের পাশাপাশি আমাদের সন্তানরা ঝাঁপিয়ে পড়বে।
এসময় আরেক মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের হাতে অস্ত্র দিন। আমরা আবারও জামাত-শিবির রাজাকারদের দমন করতে অস্ত্র হাতে মাঠে নামতে চাই। আমরা আবারও দেখতে চাই। এ দেশে কোনো রাজাকার আল বদরের জায়গা নাই।
এসময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার এর সভাপতি বাহার উদ্দিন রেজা (বীর প্রতীক), সাধারণ সম্পাদক আবু শহীদ বিল্লাহ বকুল, শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, নাজির আহমেদ চৌধূরী মাকসুদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংগঠনের সভাপতি হুমায়ন কবির, শরিফ উদ্দিন জয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, কাওসার আহমেদ ভূইয়া প্রমুখ।
Leave a Reply