কিডনি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। এটি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত পানি বের করে, ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়।
গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে, প্রচুর লবণ গ্রহণ করা হলো কিডনির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে প্রায় অজ্ঞাতভাবে অতিরিক্ত লবণ থাকে— সুপারমার্কেটের প্রসেসড খাবার, ফাস্টফুড, চিপস এবং সংরক্ষিত খাবারে লবণের পরিমাণ অনেক বেশি।
লবণ কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। বেশি লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়ে, যা কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যারা উচ্চ লবণযুক্ত খাবার নিয়মিত খান, তাদের কিডনির ফাংশন দ্রুত কমে যায় এবং কিডনি ফেইলিওরের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
এছাড়া, আরও কিছু অভ্যাস কিডনির জন্য ক্ষতিকর:
পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া: ডিহাইড্রেশন কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করে।
অত্যধিক প্রসেসড বা জাঙ্ক ফুড খাওয়া: এ ধরনের খাবারে লবণ, চিনি এবং ক্ষতিকর অ্যাডিটিভ থাকে যা কিডনিকে দুর্বল করে।
অযথা পেইনকিলার ওষুধ ব্যবহার: দীর্ঘমেয়াদে নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
অতিরিক্ত প্রোটিন খাদ্য: মাংস ও প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট অতিরিক্ত হলে কিডনির উপর চাপ বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
1. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন—প্রায় ২–৩ লিটার।
2. লবণের পরিমাণ সীমিত রাখুন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
3. খাবারে প্রাকৃতিক উপকরণ বেশি রাখুন, যেমন শাক-সবজি, ফল ও নটস।
4. নিয়মিত কিডনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
5. প্রয়োজনে খাদ্য ও জীবনধারার পরিবর্তনে ডায়েটিশিয়ান বা ডাক্তার পরামর্শ নিন।
ছোটখাটো পরিবর্তনও কিডনির দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য রক্ষা করতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আজই শুরু করুন সচেতনতা এবং অভ্যাস পরিবর্তন।
Leave a Reply