আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও চলমান আর্থিক সংকটের কারণে নির্বাচনের আগে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে পে-কমিশন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দিলে সেই অনুযায়ী একটি সুপারিশমালা তৈরি করবে সরকার। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই কাঠামো বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে নতুন কাঠামো ঘোষণা ও বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবীরা নিয়ম অনুযায়ী মহার্ঘ্যভাতা পেতে থাকবেন। এ পরিকল্পনা নিয়েই অগ্রসর হচ্ছে অর্থ বিভাগ।
উল্লেখ্য, পে-কমিশন গঠনের পর গত ১৪ আগস্ট কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মপরিধি অনুযায়ী আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ীই পরবর্তী বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হবে।
কমিশনের প্রথম বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার উপযোগিতা নিয়েও মতবিনিময় হয়।
এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, কমিশনকে নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তার ভাষায়, “আমাদের লক্ষ্য হলো সময়োপযোগী একটি বেতন কাঠামো ঘোষণা করা। তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও চলছে। আমরা সময় পেলে ঘোষণা করব, আর নতুন সরকার এসে তা বাস্তবায়ন করবে।”
Leave a Reply