ক্যানসারের লক্ষণ এবং উপসর্গ প্রধানত আক্রান্ত অঙ্গের উপর নির্ভর করে। তবে কিছু সাধারণ উপসর্গ রয়েছে, যা ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও অন্য রোগের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
ক্যানসার এই রোগটা অনেকের কাছে আতঙ্কের মতো। এটি শুধু একটি অঙ্গ বা কোষকে আক্রান্ত করে না, বরং সময়ের সঙ্গে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের স্বাভাবিক কোষকে ধ্বংস করতে পারে ক্যানসার তাই মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রতিদিন হাজারও মানুষ ক্যানস্যারের কারণে জীবন হারাচ্ছেন। তবে সময়মতো সচেতনতা ও চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই রোগ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ ও সতর্কবার্তা জানা অত্যন্ত জরুরি। মায়ো ক্লিনিকের প্রতিবেদনে ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা ক্যানসারের বেশ কিছু লক্ষণের উল্লেখ করেছেন।
ক্যানসারের লক্ষণ ও উপসর্গ: ক্যানসারের লক্ষণ এবং উপসর্গ প্রধানত আক্রান্ত অঙ্গের উপর নির্ভর করে। তবে কিছু সাধারণ উপসর্গ রয়েছে, যা ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও অন্য রোগের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকতে বলেছেন যদি নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দীর্ঘ সময় ধরে উপস্থিত থাকে:
ক্লান্তিবোধ: দৈনন্দিন কাজ করার সময় অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ করা।
গঠন বা গাঁঠ: ত্বকের নিচে স্পর্শ করলে অনুভূত হওয়া গাঁঠ বা আবরণ।
ওজন পরিবর্তন: অপ্রত্যাশিত ওজন কমে যাওয়া বা বৃদ্ধি।
ত্বকের রং পরিবর্তন: ত্বকের হলদে বা কালচে হয়ে যাওইয়া। কখনো আবার লালচে দাগ দেখা দেয়। সা
বাথরুমের অভ্যাস পরিবর্তন: মলত্যাগ বা প্রস্রাবের অভ্যাসে পরিবর্তন।
দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা শ্বাসকষ্ট।
গিলতে সমস্যা হওয়া।
কণ্ঠে অবনতি বা হাঁপানি।
অবিরাম হজমজনিত সমস্যা বা খাবারের পর অস্বস্তি।
অজানা পেশি বা জয়েন্ট ব্যথা।
অজানা জ্বর বা রাতের ঘাম।
অজানা রক্তপাত বা চোট লাগা।
কখন ডাক্তার দেখানো উচিত: যদি কোনো উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে বা বাড়তে থাকে, তবে অবিলম্বে ডাক্তারকে দেখানো উচিত। এর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব এবং চিকিৎসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও, যদি আপনি কোনো উপসর্গ অনুভব না করেও ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে ডাক্তারকে পরামর্শ করুন। আপনার বয়স, পরিবারিক ইতিহাস এবং জীবনধারার ভিত্তিতে কোন ধরনের স্ক্রিনিং টেস্ট এবং প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে তা ডাক্তার আপনাকে নির্ধারণ করবেন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যানসার একটি জটিল রোগ হলেও, প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং সময়মতো চিকিৎসা পেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। শরীরের অস্বাভাবিক পরিবর্তনগুলোকে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারকে দেখানো, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা, নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো এগুলোই ক্যানসার প্রতিরোধের প্রধান ধাপ।
Leave a Reply