free tracking

বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব মিলবে যেসব দেশে!

জন্মসূত্রে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। তবে বিশ্বায়নের এ যুগে অনেকেই চান বিদেশে সুযোগ–সুবিধার পাশাপাশি নাগরিকত্বও অর্জন করতে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রচলিত উপায়গুলোর একটি হলো ভিনদেশি নাগরিককে বিয়ে করা।

আগে যেখানে পত্রমিতালি বা সীমিত যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে উঠত, এখন প্রযুক্তির কল্যাণে বিদেশে পড়াশোনা, কাজ বা অনলাইনে পরিচয়ের মাধ্যমে অনেকেরই গড়ে উঠছে সম্পর্ক—যা গড়াচ্ছে বিয়েতে।

বিশ্বের কয়েকটি দেশে আইনত তাদের নাগরিককে বিয়ে করলে বৈধ উপায়ে তুলনামূলক সহজ প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু দেশের নাম—

কেপ ভার্ড: পশ্চিম আফ্রিকার এই দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিককে বিয়ে করার পরই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। বসবাসের কোনো পূর্বশর্ত নেই, ফলে প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সহজ।

স্পেন: স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করলে এক বছরের মধ্যেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। সঙ্গে থাকতে হবে বৈধ বিয়ের প্রমাণপত্র ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ। এ ছাড়া স্প্যানিশ ভাষার প্রাথমিক জ্ঞানও কাজে লাগে। একবার নাগরিকত্ব পেলে লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন, পর্তুগালসহ আরও কিছু দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা পাওয়া যায়।

আর্জেন্টিনা: আর্জেন্টাইন নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র দুই বছর পরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা সম্ভব। শর্ত হিসেবে লাগবে বৈধ বিয়ের প্রমাণ, কোনো অপরাধ না করার রেকর্ড ও সাধারণ স্প্যানিশ ভাষাজ্ঞান।

মেক্সিকো: মেক্সিকান নাগরিকের সঙ্গে দুই বছর বৈধভাবে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের যোগ্যতা অর্জন করা যায়। এখানে স্প্যানিশ ভাষার মৌলিক দক্ষতা ও একসঙ্গে থাকার প্রমাণ প্রয়োজন। বিশেষ সুবিধা হলো—মেক্সিকোর নাগরিকত্ব নিলেও পূর্বের দেশের পাসপোর্ট রাখা যায়।

তুরস্ক: তুর্কি নাগরিককে বিয়ে করলে তিন বছর বৈধভাবে একসঙ্গে থাকলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। ভাষা বা সংস্কৃতির শর্ত নেই। তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে পৃথিবীর ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা-ফ্রি বা ভিসা অন-অ্যারাইভাল সুবিধা পাওয়া যায়।

সুইজারল্যান্ড: সাধারণভাবে কঠোর অভিবাসন নীতি থাকলেও বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের সুযোগ এখানে তুলনামূলক সহজ। সুইস নাগরিকের সঙ্গে তিন বছর একসঙ্গে থেকে পাঁচ বছর দেশে বাস করলে, কিংবা বিদেশে থেকেও ছয় বছরের বৈধ বিবাহিত জীবন অতিক্রম করলে আবেদন করা যায়। এর সঙ্গে সুইস ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা ও অপরাধমুক্ত থাকার প্রমাণও দিতে হয়। নাগরিকত্ব পেলে পুরো ইউরোপে বসবাসের সুযোগ মেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *