ক্যান্সারের সঠিক কারণ নিয়ে এখনো নিশ্চিত বক্তব্য দিতে পারেননি গবেষকেরা। কারোর মতে এই রোগ মূলত জিনগত কারণে হয়। আবার কারোর মতে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসও দায়ী। চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই স্তন, লিভার, মলাশয়, মলদ্বার, পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয়সহ প্রায় ১৭ ধরনের ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে নতুন ওষুধ ও প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে বিশ্বজুড়ে। তবে গবেষকেরা বলছেন, কিছু খাবার নিয়মিত খেলে এই মারণরোগের সম্ভাবনা অনেকটাই হ্রাস পেতে পারে। চলুন, জেনে নিই।
টক দই
অনেকের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় দই থাকে। এতে রয়েছে প্রোবায়োটিক উপাদান ও উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যা শরীরের ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, বি-৬, ফ্যাট, ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসও রয়েছে।
দই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এর গবেষণা বলছে, টক দই পরিমিত খেলে কোলন, ফুসফুস ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
দইয়ের ঘোল
দইয়ের ঘোলে প্রোবায়োটিক থাকে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, খনিজ ও প্রোটিন। গবেষণায় দেখা যায়, দইয়ের ঘোলের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কোষের অনিয়মিত বিভাজন ঠেকিয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কা কমাতে পারে।
পনির
পনির হলো প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও সেলেনিয়ামের অন্যতম উৎস। সেলেনিয়াম একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা কোষের প্রদাহ কমিয়ে শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। তবে পনির সবসময় পরিমিত মাত্রায় খাওয়া উচিত।
ঘি
ঘি রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা তুলনামূলক কম। পরিমিত ঘি খেলে রক্তে কোলেস্টেরল কমতে পারে, প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। যদিও ঘি সরাসরি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে গবেষকেরা বলছেন, ঘি-তে থাকা কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড ক্যান্সার কোষ তৈরি হতে দেয় না। এছাড়া এতে থাকা বিউটারিক অ্যাসিড অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী যা লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
Leave a Reply