প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন—“আগামী জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, তার একটি প্রতিফলন আমরা ডাকসু নির্বাচনে দেখেছি। নির্বাচনের সময়সূচি ফেব্রুয়ারি মাসেই ঠিক করা আছে। কেউ যদি এই সময়সূচি থেকে সরে আসতে চায়, তাহলে তা জাতির জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে।”
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন—“সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের পক্ষপাত করবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।”
তিনি জানান, নির্বাচনের সময় ৮ লাখ সদস্য—পুলিশ, বিজিবি ও আনসার মোতায়েন থাকবে।
শফিকুল আলম বলেন—“শুধু সরকারের সদিচ্ছা নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সমাজের নানা অংশ ও রাজনৈতিক দলগুলোরও সদিচ্ছা প্রয়োজন।”“ইলেকশন করে সোসাইটি। রাজনৈতিক দলগুলো যদি আন্তরিক হয়, তাহলে একটি ভালো নির্বাচন অবশ্যই সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন—“জনগণ যদি বন্যার জলের মতো কেন্দ্রে ছুটে আসে ভোট দিতে, তাহলে কোনো শক্তিই সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। ডাকসুতে যেমন হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনেও আমরা একইরকম উৎসবমুখর পরিবেশ প্রত্যাশা করি।”
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন—“সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে, তাহলে এই নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।”
বৈশাখী আরও বলেন—“মেয়েদের হলে একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোট দিয়েছেন। শিবিরপন্থী সাংবাদিকরা আমাদের প্রার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। সব মিলিয়ে এটি সুষ্ঠু নয়, বরং কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন। আমরা বাধ্য হয়েই নির্বাচন বর্জন করেছি। এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায় প্রতিফলিত হচ্ছে না।”
Leave a Reply