ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বড় ধরনের চমক দেখিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থীরা। ২৮টি কেন্দ্রীয় পদের মধ্যে ২৩টিতে জয়লাভ করে তারা কার্যত একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মো. আবু সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ জয়লাভ করেছেন।
নির্বাচনে ভিপি পদে মো. আবু সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। অন্যদিকে, জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন এস এম ফরহাদ।
ডাকসুর এই দুই শীর্ষ পদধারীকে মাসিক কোনো বেতন বা সম্মানী দেওয়া হয় না, তবে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা **সিনেট**-এর সদস্য হন। সেখানে তাঁরা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে তাঁদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে পারেন এবং স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াতেও তাঁদের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকে।
তাঁদের জন্য ডাকসু ভবনে আলাদা কক্ষ বরাদ্দ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান এবং জরুরি বৈঠকেও তাঁরা প্রতিনিধিত্ব করেন। যদিও তাঁরা কোনো নির্দিষ্ট ভাতা পান না, তবে সিনেটের বৈঠকে অংশ নিলে একটি নির্দিষ্ট সম্মানী পেয়ে থাকেন। এছাড়া, এক বছরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভিপির জন্য ৫ লাখ ও জিএসের জন্য ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ টাকা এককালীন বরাদ্দ থাকে। এই অর্থ মূলত সাংগঠনিক কাজ, চা-নাস্তা এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে সহায়তার জন্য ব্যবহার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও নীতিনির্ধারণী কাঠামোয় সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে ডাকসুর ভিপি ও জিএস পদ দুটি সম্মান ও প্রভাবের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।
Leave a Reply