সিরাজগঞ্জে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে জেলায় ২১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ সদর ও রায়গঞ্জ উপজেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ব্যাপক সংঘর্ষে আরও আটজন নিহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। রায়গঞ্জে নিহতরা হলেন-রায়গঞ্জের ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার লিটন ও তার ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন টিটো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, ইউপি মেম্বার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর আলম এবং সাংবাদিক প্রদীপ ভৌমিক, যুবদল নেতা রঞ্জু (৪০), যুবদল কর্মী আব্দুল লতিফ ও ছাত্রদল কর্মী সুমন।
জানা যায়, রায়গঞ্জের ধানগড়া এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটে পাশের রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবে ঢুকে পড়েন। এ সময় সেখানে হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম তৌহিদ।
অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদল নেতা রঞ্জু (৪০), যুবদল কর্মী আব্দুল লতিফ ও ছাত্রদল কর্মী সুমন নিহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
Leave a Reply