free tracking

দাফনের সময় আচমকাই নড়ে উঠলো ‘মৃত নবজাতক’, মুহূর্তে ভিডিও ভাইরাল!

চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে জীবিত নবজাতক দাফনের চেষ্টার ঘটনায় শহরের কুমিল্লা রোডে অবস্থিত ‘দ্য ইউনাইটেড হাসপাতাল’-এর কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে প্রশাসন। গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনির নেতৃত্বে পরিচালিত এক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গেল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে, যখন একটি নবজাতককে কবরস্থানে দাফনের সময় নড়েচড়ে ওঠতে দেখা যায়। স্থানীয়দের তৎপরতায় বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ঘটনাটির ভিডিও। এতে নড়েচড়ে ওঠা নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

এই ঘটনায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)-কে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই নবজাতক ইউনাইটেড হাসপাতালেই জন্মগ্রহণ করে এবং দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে নানা অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল কর্তৃপক্ষ।

পৌর কবরস্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত বলেন, হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি। চিকিৎসক, প্যাথলজি, ওটি (অপারেশন থিয়েটার)-তে সঠিক পরিবেশ নেই। পোস্ট অপারেটিভ রোগীদের জন্য কোনো সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়নকৃত পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, প্যাথলজি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। রোগীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্যত্র চিকিৎসা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, অভিযানের প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হবে। সিভিল সার্জন চাইলে হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল অভিযানে সহায়তা করে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ লাইসেন্সসহ সব ধরনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। নবজাতক বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এ বিষয়ে আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *