free tracking

কোলেস্টেরল কমবে মাত্র ৩০ দিনে, জেনে নিন সহজ উপায়!

শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, সুষম খাবারের অভাব এবং মানসিক চাপের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা শুধু প্রবীণদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; কমবয়সিরাও ক্রমেই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত ভাজাভুজি, তেলমশলা দেওয়া খাবার, ধূমপান ও মদ্যপান কোলেস্টেরল বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার পরিবর্তনেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

চিকিৎসকেরা বলছেন, খাওয়া-দাওয়ায় সংযম জরুরি। যদি খুব বেশি ভাজাভুজি বা তেলমশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে। ধূমপান বা মদ্যপান বেশি করেন কেউ বা অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভোগেন, তা হলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। তখন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ খেতেই হবে। কিন্তু যদি রোজের যাপনে কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তা হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।

উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে প্রবীণদের মধ্যে নয়, কমবয়সিরাও এখন এ সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি:

ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ: ধূমপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, তাই অবিলম্বে এ অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন। মদ্যপান থাকলে তা সীমিত পরিমাণে রাখা উচিত।

সুষম আহার: গোটা শস্য, প্রচুর শাক-সবজি ও ফল খাওয়া উচিত। শস্যে থাকা পুষ্টি এবং খনিজ পদার্থ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। তরমুজ, পেয়ারা, আপেল, কমলা, কলা ও পেঁপে নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যকর ফলাফল পাওয়া যায়।

মানসিক চাপ কমান: মানসিক চাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। নিয়মিত ধ্যান ও যোগাসন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা: বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম এবং হাঁটা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। সকালে কিছু সময় যোগাসন ও ধ্যানের জন্য বরাদ্দ রাখলে মানসিক চাপও কমে।

চিকিৎসকরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় এই ছোট পরিবর্তনগুলো অনুসরণ করলে মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *