২ ম্যাচ জিতে যোগ্য দল হিসেবেই বাংলাদেশ চলে এসেছিল এশিয়া কাপের সুপার ফোরে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতে লিটন দাসের দল দেখছে ফাইনালে খেলার স্বপ্নও।
তবে এই স্বপ্ন দেখার সিড়িটা গড়াতে বড় অবদান ছিল শ্রীলঙ্কার। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের জয়ই বাংলাদেশের বড় উপকার করেছিল তারা, টিকিট কেটে দিয়েছিল সুপার ফোরের। তবে নিয়তির ফেরে সেই শ্রীলঙ্কাই এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। ফাইনালের সমীকরণ মেলাতে হলে বাংলাদেশের ‘প্রতিদান’টা এখন যে খুব করে দরকার তাদের!
গ্রুপ পর্বে বিপুল বিক্রমে গ্রুপসেরা হওয়া শ্রীলঙ্কা মুখ থুবড়ে পড়েছে সুপার ফোরের লড়াইয়ে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল দলটা। এরপর লঙ্কানরা পাকিস্তানের বিপক্ষেও পরাজয় বরণ করেছে।
তবে দুই ম্যাচ হারের পরেও তাদের ফাইনালের স্বপ্ন একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। সমীকরণ মেলাতে পারলে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এখনও খেলতে পারে ফাইনালে। সে সমীকরণ মেলাতেই বাংলাদেশের সাহায্য দরকার শ্রীলঙ্কার।
সুপার ফোরের তিন ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। ১ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ২, আর নেট রান রেট ০.৬৮৯। দুইয়ে আছে পাকিস্তান, গত রাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর তারা বাংলাদেশকে টপকে শীর্ষ দুইয়ে উঠে গেছে; ২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২ আর নেট রান রেট এখন তাদের ০.২২৬। তিনে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট ১ ম্যাচে ২, নেট রান রেট ০.১২১। তলানিতে থাকা শ্রীলঙ্কা ২ ম্যাচ খেলে পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি। তাদের নেট রান রেট -০.৫৯০।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষীতেই পরিণত হতে পারে শ্রীলঙ্কা। একমাত্র বাংলাদেশ ফাইনালে খেললেই যে এখন সম্ভাবনাটা কাগজে কলমে টিকে থাকবে তাদের!
লঙ্কানদের হাতে আছে এক ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে সর্বোচ্চ ২। এমন পরিস্থিতিতে একাধিক দল যদি ২ পয়েন্টের বেশি পেয়ে যায়, তাহলেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে লঙ্কানদের।
সেখানেই বাংলাদেশের সাহায্যটা দরকার লঙ্কানদের। বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের ম্যাচ আছে, সে ম্যাচে কোনো একটা দলের ২ পয়েন্ট হবেই, ফলে সেটা চারিথ আসালঙ্কাদের হাতে নেই। সে ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ই চাইবে তারা।
তার আগে আজ ভারতের বিপক্ষেও ‘নাগিন ডার্বি’র প্রতিদ্বন্দ্বিরা জিতুক, ডার্বির অন্য পক্ষটি তাই চাইবে। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ জিতে গেলে তাদের পয়েন্ট হবে ৬। সেক্ষেত্রে তারা হিসেব ছাড়াই খেলবে ফাইনালে।
এদিকে শ্রীলঙ্কাকে ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে। এবং সেটা অন্তত ১ ওভার হাতে রেখে, বা নিদেনপক্ষে ১০ রানের ব্যবধানে হতেই হবে। তখন নেট রান রেটে পাকিস্তান আর ভারতকে টপকে ফাইনালে খেলার সম্ভাবনাটা থাকবে তাদের। ফাইনালে যেতে হলে এই একটা উপায়ই খোলা আছে তাদের সামনে।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ অতীতের সব তিক্ততা ভুলে লঙ্কানদের মরণ-কঠিন সমর্থক বনে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কাও সমর্থনের মান রেখেছে। বাংলাদেশের সুপার ফোরের টিকিটটা কেটে দিয়েছিল শেষ ম্যাচে আফগানদের হারিয়ে।
এবার লঙ্কানদের সমর্থনের পালা। তারাও নিশ্চয়ই বাংলাদেশের মরণ-কঠিন সমর্থক এখন। গ্রুপপর্বের সেই ‘উপকারের প্রতিদান’টা তাই এবার চাইতেই পারে কোচ সনৎ জয়াসুরিয়ার দল।
Leave a Reply