ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
আন্দোলনকারী ছাড়াও নাহিদ ইসলামের রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় নেতা। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি।
আসিফও ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র কেন্দ্রীয় নেতা। ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করে দলটি।
একনজরে নাহিদ ইসলাম
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয়ক। নাহিদ ইসলামের ডাকনাম ‘ফাহিম’। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। বাবা শিক্ষক। মা ঘর সামলে সন্তানদের মানুষ করেছেন। ছোট এক ভাই রয়েছে তার। নাহিদ বিবাহিত।
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে তাকে দুবার আটক করা হয়। প্রথমবার, ১৯ জুলাই সাদা পোশাকধারী বেশ কয়েকজন লোক তার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। চোখে কাপড় বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। দুদিন পর পূর্বাচলে একটি ব্রিজের তলায় নিজেকে আবিষ্কার করেন নাহিদ। দ্বিতীয়বার, ২৬ জুলাই ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
একনজরে আসিফ মাহমুদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আন্দোলনের সময় সামাজিকমাধ্যমে বেশ সরব দেখা গেছে তাকে। বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে এসে আন্দোলনকারীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আসিফ।
পুরো নাম আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র সমন্বয়ক থেকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা’ হয়েছেন তিনি।
আসিফ মাহমুদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মো. বিল্লাল হোসেন ও মাতার নাম রোকসানা বেগম। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ক্লাবের প্লাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ জন সদস্য। তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় শপথ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি নতুন দায়িত্ব পাওয়া তিন উপদেষ্টা।
Leave a Reply