বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা জীবন ও সম্পত্তি সুনিশ্চিত করতে কমিটি গঠন করেছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার (৯ আগস্ট) এই কমিটির ঘোষণা করেন। কমিটির তত্ত্বাবধানে থাকবে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের এডিজি এবং ইস্টার্ন কমান্ডের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, নয়াদিল্লির এই কমিটির তত্ত্বাবধানে থাকবে বিএসএফের এডিজি এবং ইস্টার্ন কমান্ডের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া টিমে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল হেডকোয়ার্টারের আইজি, ত্রিপুরা হেডকোয়ার্টারের আইজি, প্ল্যানিং এবং ডেভেলপমেন্টের সদস্য, ল্যান্ড অ্যান্ড প্লটস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা ও সচিব থাকবেন।
শুক্রবার (৯ আাগস্ট) কেন্দ্র একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে ভারত সরকার। বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই কমিটি কাজ করবে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে তারা।’’
এক্স হ্যান্ডলে করা একটি পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বংলাদেশের প্রশাসনের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ বজায় রাখবে। সেখানে এই মুহূর্তে যত ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তদারকি করবে এই কমিটি। পড়শি দেশে বহু সংখ্যক হিন্দু এবং সংখ্যালঘু রয়েছে। তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও দেখবে এই কমিটি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের খবর সামনে আসতে শুরু করে। এমন অবস্থায় ভারতের সীমান্ত এলাকায় বিগত কয়েক দিনে বেড়েছে হিন্দু শরণার্থীদের ঢল। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি কোচবিহার ও ত্রিপুরার সীমান্তে গত বুধবার থেকে সীমান্ত পার করে ভারতে ঢোকার দাবিতে জড়ো হন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। যদিও তাদের এখনো পর্যন্ত ঢুকতে দেয়নি বিএসএফ।
এর পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সূত্র বলছে, বাংলাদেশের নরসিংদি, শেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্ঠিয়া ও কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ কয়েদি পালিয়ে গেছেন। শরণার্থীদের ভিড়ে তাদের অনেকেই অস্ত্রসহ বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারেন।
Leave a Reply