‘ওয়ায়দুল কাদের আমার অভিভাবক’, এ প্রসঙ্গে যা বললেন জাহারা মিতু!

ঘটনাটা গত বছরের। অমর একুশে বইমেলায় চলচ্চিত্র নায়িকা জাহারা মিতুর একটি কবিতার বই প্রকাশ হয়। বইয়ের নাম ‘প্রেমিকার নাম কবিতা’। মেলা চলাকালীন ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, চিত্রনায়িকা কেয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে জাহারা মিতু দাবি করেন, ‘সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অনেক সম্মান করি, আমার একজন অভিভাবকও তিনি।’

বিষয়টি নিয়ে পরিবর্তিত সময়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ এরই মধ্যে ওবায়দুল কাদেরসহ পুরো সরকার পদত্যাগ করেছে।

পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এসেছে নতুন সরকার। কিন্তু ওই সংবাদের স্ক্রিনশট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাহারা মিতু রীতিমতো ট্রলের শিকার।

বিষয়টি নিয়ে আজ কথা হয় জাহারা মিতুর।

তিনি বলেন, ‘আগুন সিনেমায় অভিষেকের দিন প্রথম ভাইয়ার (ওবায়দুল কাদের) সঙ্গের আমার দেখা এবং পরিচয় হয়। এরও প্রায় দুই বছর পর আরেকটি অনুষ্ঠানে ভাইয়ার সঙ্গে আমার দেখা হয়। সঙ্গে অনেক মানুষই ছিল তাদের মধ্যে একজন বলেছিল, ভাই, মিতু শুধু নায়িকা না, লেখালেখিও করে। আমি উনাকে বলেছিলাম আমি তার লেখা তিনটি বই পড়েছি। কাদের ভাই বলেছিলেন, লেখালেখি বন্ধ করো না, শিগগিরই বই বের করো।

আমাকে জানিয়ো বই বের করে। তাই বই প্রকাশের প্রস্তাবের পরই ভাইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং অনুরোধ করি আমার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে।’

তিনি চটকদার ক্যাপশন দিয়ে নিউজ করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘সত্যি বলতে উনি বলার পরই আমার বই প্রকাশ করার বিষয়টা মাথায় ভালোমতো ঢুকেছিল। তাই এই বিষয়ে অনুপ্ররণা দেওয়ার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। চটকদার ক্যাপশন দিয়ে নিউজ করা তো নতুন কিছু নয়। এটা চলবেই এবং তা নিয়েও আমার আপত্তি নেই। আমি এখনো বলছি, বই প্রকাশ করার এই ব্যাপারটায় অবশ্যই তিনি আমার অভিভাবকের দায়িত্বই পালন করেছেন, আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এটা অস্বীকার করার কোনো দুঃসাহস আমার নেই।’

জাহারা মিতু বলেন, ‘যারা এখন বিভিন্ন কথা বলছেন তারাও একসময় ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চেয়েছেন। আবার নতুন সরকার হলে তখনো চাইবেন। এটা মানুষের স্বভাব, তাই এ ক্ষেত্রে ট্রলকারীদেরও আমি কিছু বলার প্রয়োজনবোধ করি না। পরিস্থিতি বোঝার মতো বোধ আছে তাই চুপচাপ থাকছি। অতীতেও এসবে চুপ ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *