এবার শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা আন্দোলনকারীদের!

যতদিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার ফাঁসি বাংলাদেশের মাটিতে না হবে, ততদিন পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহীর সহ-সমন্বয়ক এফ.আর.এম ফাহিম রেজা।

সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে রাজশাহীর তালাইমারির মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। সেখানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ফাহিম রেজা বলেন, ‘তারা নাকি আমাদের এক দফা কে রুখে দিবে? আবার শুনছি আওয়ামী লীগ নাকি শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে। আমরা দেখেছি, তারা ডাকাত, মন্দিরে হামলাকারী, চোর ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ফিরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিল পালাবে না, কিন্তু পালিয়েছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, আপনার দু’হাত রক্তে রঞ্জিত। আপনি পিলখানায়, শাপলা চত্বর ও ছাত্রদের উপর সহ মোট তিন বার গণহত্যা চলিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত খুনি হাসিনার ফাঁসি বাংলাদেশের মাটিতে না হবে, ততদিন পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাঠে থাকবে।’

তিনি ইউনিয়ন, সিটি কর্পোরেশন সহ সব জায়গাতেই ধুয়ে পরিষ্কার করতে সবাইকে আহবান জানিয়ে আরো বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, সিটি কর্পোরেশনে বুলেট, রামদা সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ছিল। যা রাজশাহীবাসীর উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। তাই যতদিন পর্যন্ত এর বিচার না হবে, ততদিন পর্যন্ত রাজশাহীবাসী এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজপথ ছাড়বে না।’

সমাবেশ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহীর তিন শহীদের স্মরণে তিনটি চত্বরের নাম ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। আলুপট্টির মোড়কে শহীদ রায়হান চত্বর, সাগর পাড়া মোড়কে শহীদ শাকিল চত্বর, তালাইমাড়ি মোড় ও মুজিব চত্বরকে বিজয় ২৪ চত্বর এবং ভদ্রা মোড়কে শহীদ সাকিব আনজুম চত্বর হিসেবে ঘোষনা করেন।

সহ-সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘গত ৫ তারিখে আকাঙ্খিত বিজয় অর্জনের দিনে স্বৈরাচার হাসিনার দালাল খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে রাজশাহীতে আমাদের তিনজন ভাইকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সেই তিনজন ভাইকে ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় করে রাখতে চাই। সেজন্য তিনজন শহীদ ভাইয়ের নামে তিনটি চত্বরের নাম ঘোষণা করে দিচ্ছি। সেটা প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আপনার আমার। এদেশে সরকার নেই প্রশাসন নেই কিন্তু কয়েকদিন ছাত্রসমাজ খুব ভালোভাবেই দেশ চালাতে পেরেছে। তাই এই চত্বর প্রতিষ্ঠিত করাটা আমাদের জন্য খুব বড় বিষয় না।’

সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *