রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: তদন্ত প্রতিবেদনে যা জানা গেল!

ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাকান ও জোলফা শহরের মধ্যবর্তী দিজমার বনে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ নয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথমবারের মতো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইরানি সেনাবাহিনী।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এ তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। ইরানের আধাসরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর গত সোমবার দুর্ঘটনাস্থলে যায় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে এ তদন্তকারী দল গঠিত হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টারটি পুরো পথ ধরে তার পূর্বনির্ধারিত পথেই ছিল এবং ফ্লাইট রুট থেকে বিচ্যুত হয়নি। দুর্ঘটনার দেড় মিনিট আগেই বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারের পাইলট প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অন্য দুই হেলিকপ্টারের পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারে বুলেট বা অনুরূপ কোনো জিনিসের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় একটি পর্বতে। এরপরই সেটিতে আগুন ধরে যায়।

ইরানের সামরিক বাহিনী জানায়, কুয়াশা এবং নিম্ন তাপমাত্রার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছিল। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায়, ড্রোনের সহায়তায় বিধ্বস্ত হেলিপ্টারের ঘটনার সঠিক শনাক্ত হওয়া যায়। দুর্ঘটনার সময় ওয়াচটাওয়ার এবং ফ্লাইট ক্রুদের মধ্যে কথোপকথনে কোনও সন্দেহজনক কিছু শনাক্ত করা হয়নি বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এ দুর্ঘটনা নিয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনী।

গত রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ নয়নজন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ শহর মাশহাদে চিরনিদ্রায় শায়িত হন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *