টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে টুর্নামেন্টটির সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে যায় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো মার্কিন ক্রিকেট দলের মুখোমুখি হয়েই নাকানিচুবানি খাচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তের দল। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটির কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে সিরিজ খুইয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান এই সিরিজ মুখোমুখি হওয়ার আগে মাত্র ২৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা থাকা দলটি বড় আলোচনারই জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হারে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডও হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দল হিসেবে হারের ‘সেঞ্চুরি’র রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। হিউস্টনে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বৃহস্পতিকার (২৩ মে) সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শততম হারের স্বাদ পেয়েছে তারা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ হারের আগেও বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের তালিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের (৯৯) চেয়ে পিছিয়ে ছিল। গতকাল রাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ফলে তারা এখনো ৯৯-তেই দাঁড়িয়ে।
বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত ১৬৮ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ১০০ ম্যাচে হেরেছ। বাংলাদেশের পরের অবস্থানে থাকা দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৩ ম্যাচ খেলে হেরেছে ৯৯টিতে। শ্রীলঙ্কার পরাজয় ৯৮ ম্যাচ, তারা খেলেছে ১৮৯ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা জিম্বাবুয়ের পরাজয় ১৪৫ ম্যাচে ৯৫টি। সর্বোচ্চ পরাজয়ের তালিকায় নিউজিল্যান্ড পঞ্চম। বাকি চার দলের তুলনায় অবশ্য তাদের ম্যাচও বেশি। কিউইরা ২১৬ ম্যাচে ৯০টিতে হেরেছে।
বাংলাদেশ দল মোট ম্যাচের ৫৯.৫২ শতাংশই হেরেছে। কমপক্ষে ১০০ ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে যেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সবার ওপরে জিম্বাবুয়ে, নিজেদের মোট ম্যাচের ৬৫.৫১ শতাংশ ম্যাচই হেরেছে তারা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কমপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ এর আগে ৯ বার হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এর কোনোটিই আইসিসির সহযোগী সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারে সে অর্থে নতুন এক অভিজ্ঞতাও হলো টাইগারদের।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি নিজেদের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র চতুর্থ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। গত মাসে কানাডাকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় দলটি। বাংলাদেশের আগে আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচই জিতেছিল মাত্র একটি।
Leave a Reply