ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। দীর্ঘ পনের বছরের দোর্দণ্ড প্রতাপের শাসনের পর শেখ হাসিনা গোপনে দেশ ত্যাগ করায় বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমপি-মন্ত্রীসহ দলটির অনেক শীর্ষ নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ইতোমধ্যে কেউ কেউ আবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, কেউ বা আবার আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে দলটির সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা দেশেই রয়েছেন।
বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরব ভূমিকা ছিল জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হলেও সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন দ্য ক্যাপ্টিন হিসেবে। তাই মাশরাফির নিরব থাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তার ভক্তরা।
নিজের নিরব থাকার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মাশরাফি। বুধবার (১৪ আগস্ট) দেশের একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এখন আসলে এসব কথার উত্তর বা ব্যাখ্যা দেওয়ার অর্থ নেই। যদি সরাসরি বলি, তাহলে অবশ্যই আমি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি অনেক মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে।’
মাশরাফি বলেন, ‘কথা যদি বলতেই হতো তখন… কোটা সংস্করারের আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক ছিল। আমার নিজের কাছেও মনে হচ্ছিল, এটা হয়ে যাবে। তবে সবাই যখন চাচ্ছিল যে আমি কিছু একটা বলি বা স্ট্যাটাস দেই (ফেইসবুকে)… ততক্ষণে আসলে সবকিছু এত দ্রুত হচ্ছিল… ভাবছিলাম যে আমি যদি কিছু লিখি বা মন্তব্য করি, সেটার সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে… অনেক কিছু ভাবছিলাম আর কী… সব মিলিয়ে কিছু লেখা হয়নি।’
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমি কিছু করার চেষ্টা করিনি, তা নয়। আমি শুধু কিছু লেখার ভাবনায় থাকতে চাইনি। চেয়েছিলাম ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে, আলোচনার মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না। সেই শুরুর দিকেই চেষ্টা করেছি। কারণ তাদের দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। সব মিলিয়ে অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছি।’
মাশরাফির বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘শারীরিকভাবে ঠিক আছি। মানসিকভাবে অবশ্যই ভালো অবস্থায় নেই। আছি আর কী। ঢাকাতেই আছি, পরিবারের সঙ্গে।’
Leave a Reply