ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি ফ্ল্যাটে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। তার দেহাবশেষ উদ্ধার হলেও মরদেহের খণ্ডিত অংশের সন্ধান মেলেনি এখনো। এরমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
এমপি আনারকে হত্যা করা হয় নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে। তার দেহাবশেষ উদ্ধারে আজও (শুক্রবার) কসাই জিহাদকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে এরমধ্যেই উঠে এসেছে নতুন এক তথ্য।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার (২৪ মে) জানিয়েছে, নিউ টাউনের ওই ভবন থেকে পাওয়া সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা গেছে, এমপি আনার নারীসহ ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে ছিল আরেকজন পুরুষও। এরপর সেখানে তাকে হত্যা করে, মরদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেয়া হয়।
যদিও পুলিশের তরফে এমন কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পুলিশ ‘হানি ট্র্যাপের’ বিষয়ে তদন্ত করছে। ‘হানি ট্র্যাপের’ মাধ্যমে মূলত নারীদের ব্যবহার করা হয়। তারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টার্গেট করেন এবং লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে বিপদে ফেলেন।
সিসিটিভিতে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে, তিনি শিলাস্তি রহমান ওরফে সিনথিয়া রহমান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শিলাস্তিকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিলাস্তিসহ অন্য আসামিদের হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফজুর। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতার এক পুলিশ সদস্য এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘তদন্ত ইঙ্গিত করছে এমপি আনার ‘হানি ট্র্যাপের’ ফাঁদে পড়েছিলেন। মনে হচ্ছে ওই নারীর মাধ্যমে তাকে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি ফ্ল্যাটে প্রবেশের পরই বাংলাদেশি এমপিকে হত্যা করা হয়েছে।’
Leave a Reply