বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার মধ্য দিয়েই উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব। সেই জায়গা থেকে আমরা ভারতকে বলতে চাই আপনারা সহযোগিতামূলক ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখুন। আপনারা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সংকটের দিকে ঠেলে দেন সেটির প্রত্যুত্তর বাংলাদেশ দেবে এবং পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা ভারতকে বলছি আপনারা সতর্ক হোন। আপনারা যদি মনে করে থাকেন আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ ব্যাহত করার জন্য আপনারা বাংলাদেশের মানুষকে সংকটের মধ্যে ফেলবেন আমরা বলবো আপনারা চিকেন নেকের কথা ভুলে যাবেন না। আপনারা আমাদের যেভাবে ট্রিটমেন্ট দেবেন, ঠিক একইভাবে আপনারাও ট্রিটমেন্ট পাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পিঠ দেখানোর সময় শেষ হয়ে গেছে, এখন বুক দেখানোর সময় এসেছে। বিগত সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম সম্পর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু আমরা সমতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সুতরাং ভারত বর্তমানে আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করবে সেই আচরণই ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নির্ধারণ করবে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের জয়েন্ট কলাবরেটিভ ভেঞ্চারের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটি হচ্ছে রেসকিউ কার্যক্রম। কারণ, ফেনীতে যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। সেই জায়গা থেকে আমাদের সবারই প্রয়োজন রেসকিউ কার্যক্রম করা। ফেনী ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসকদের কাছে আহ্বান, আপনারা যেসব জায়গা আশ্রয়স্থল হিসেবে ঘোষণা করেছেন, সেগুলো মাইকে ঘোষণা করুন। যারা শহরমুখী হয়েছেন তারা যেন আশ্রয়স্থলগুলোতে উঠতে পারেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এ সমন্বয়ক বলেন, আমরা ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে সহায়তা করবো। কুমিল্লা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটসহ আমাদের পাহাড়ি এলাকাগুলো এখন দুর্বল হয়ে গেছে। আমাদের পুরো উত্তর ও পূর্বাঞ্চল সংকটের মধ্যে রয়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের জয়েন্ট কলাবরেটিভ ভেঞ্চারের বিকল্প নেই। আমরা সরকারি ও প্রাইভেট পর্যায়ে কথা বলেছি। বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান আমাদের হেলিকপ্টার দিতে রাজি হয়েছিল কিন্তু সেসব হেলিকপ্টার দিয়ে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে রেসকিউ কার্যক্রম করা সম্ভব না। অনুকূল পরিবেশ পেলে আমরা রেসকিউ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।
Leave a Reply