২০১৩ সালে ‘আপসহীন’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক এটি, পারিপার্শ্বিক কারণে তখন এই তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ছবিতে খালেদা জিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিপুণ আক্তার, বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চরিত্রে আছেন হেলাল খান। ১১ বছর পর এবার আলোর মুখ দেখতে চলেছে ছবিটি।
তবে শেষ পর্যন্ত চরিত্রটিতে রাখা হচ্ছে এ অভিনেত্রী নিপুণকে। তাকে বাদ দিয়ে নতুন করে নির্মাণ করা হবে ছবিটি।
সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির প্রযোজক হেলাল খান। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে আপসহীন সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম।
সে সময় অনেক কিছু আমরা করতে পারিনি। এটি নির্মাণের পর একবার ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) দেখানো হয়েছিল। তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। এরপরেই বিগত সরকার সিনেমাটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
আমাকেও গ্রেফতার করা হয়। তাই মুক্তিও দিতে পারিনি। এখনো সেভাবেই আছে। হঠাৎ করে এই সিনেমার নিউজ কে করছে, কেন করছে, এটাই বলতে পারছি না। এ সিনেমা নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে কথা না বলে কোনো কথা বলতে চাই না।
’
নতুন করে আপসহীন নির্মাণের প্রসঙ্গে হেলাল খান বলেন, ‘সিনেমাটি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে। এখন তো অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। ১০ বছর আগে যে রকম চিন্তা করেছি, এখন তো সে রকম হবে না। এরপর খালেদা জিয়ার জীবনে অনেক কিছু ঘটেছে। এখন যদি আগের কাজটি মুক্তি দিতে চাই, তাহলে ইনকমপ্লিট একটি কাজ হবে। এটা নতুন করে বানাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম যদি অনুমতি দেন, তাহলেই নতুন করে হবে আপসহীন। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই কাজটি করতে হবে। তিনি অসুস্থ হওয়ায় এ বিষয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ হয়নি। নতুন করে কাজটি করলে বিশাল আয়োজনে হবে। সিনেমার ক্যানভাস বাড়বে, অভিনয়শিল্পীদের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। খালেদা জিয়ার চরিত্রে নিপুণ অভিনয় করেছিলেন, নতুন সিনেমায় অন্য কাউকে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া অন্যান্য অভিনয়শিল্পীর ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে।’
ছবিটি প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন হেলাল খান। ছবিতে বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৩ সালের নভেম্বরে শুটিং শুরু করে ডিসেম্বরেই শেষ হয়। দ্রুত পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ সম্পন্ন করে সেন্সরে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন হেলাল খান। তার আগেই গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)এই কর্মী। তিনি ছিলেন দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের নেতা।
Leave a Reply