সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সিলেট দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সীমান্ত থেকে আটক হয়েছেন। এরপরই আটকের আগে (ভারতের ভেতরে) ও পরে (বাংলাদেশের ভেতরে) এর কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতের সীমান্তের ভেতরের একটি ভিডিওতে বিচারপতি মানিককে সেখানকার একটি জঙ্গলের মধ্যে কলাপাতায় শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় তার সামনে অবস্থান করা লোকদের বিচারপতি মানিক বলছেন, ‘আমি তোমাদের পয়সা দিয়ে দেব। পয়সা আমি দেব, আমার ভাই-বোন দেবে।’
জবাবে তাদের মধ্যে একজনকে (যাকে ভিডিওতে দেখা যায়নি) বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের পয়সার প্রয়োজন নাই। আপনার সেফটি… ‘।
এরপর মানিককে বলতে শোনা যায়, ‘ওই ফালতু লোক দুটাকে আনিও না। আমি এ দেশে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে আটকের পরের একটি ভিডিও ক্লিপ। সেই ভিডিওতে বিজিবির সদস্যরা নানা বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
কী কী নিয়ে পালাচ্ছিলেন- বিজিবি সদস্যের এমন প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি মানিক বলেন, ‘আমার সঙ্গে ছিল ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট, নগদ কিছু টাকা, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড।’
এ সময় পাশ থেকে একজন জানতে চান, আজকে আটকের সময় আপনার সাথে কী ছিল? জবাবে সাবেক এই বিচারপতি জানান, ‘তেমন কিছু ছিল না। ৪০ হাজারের মতো টাকা ছিল। গতকাল ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার মতো ছিল। ওটা নিয়ে গেছে।’
নৌকার মাঝি নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেগুলো ওই দুই ছোকরাই নিয়েছে। আমার সঙ্গে কিচ্ছু নাই, ফোন-ফোন নম্বর সব নিয়ে গেছে।’
বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমি ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে আসছিলাম, ওই টাকা আমি তাদের দিয়েছি। কিন্তু পরে ওই দুই ছেলে আমাকে মারধর করে সব নিয়ে গেছে।’
এ সময় কয়েকজন তাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন। তখন বিচারপতি মানিক বলেন, প্রশাসনের ভয়ে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম। তখন অপর পাশ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি তো অনেক জুলুম করেছেন। তখন তিনি বলেন, আমি কোনো জুলুম করিনি।
Leave a Reply