ভারতের মালয়ালাম পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করে টালিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বলেছেন, রঞ্জিত আমার সঙ্গে অসংযত আচরণ করেন। এমনকি আমাকে স্পর্শও করেছেন অনুমতি ছাড়া। অন্ধকার বারান্দায় আমাকে স্পর্শ করেন রঞ্জিত।
আনন্দবাজার প্রতিবেদনে বলা হয়, আরজি করকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। এর তীব্র নিন্দা করেছেন টালিউড ও বলিউডের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। এর মধ্যেই টালিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু সামাজিকমাধ্যমে পরিচালকের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন তিনি। শ্রীলেখা বলেন, অন্ধকার বারান্দায় আমাকে স্পর্শ করেন পরিচালক রঞ্জিত।
এ ঘটনার রেশ ভয়ানক বলে জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, আমি এ ঘটনা কারও সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারছিলাম না। এ ঘটনার পর আমি নিজের হোটেলে যাই এবং খুব আতঙ্কে সারা রাতটা কাটাই। মনে হচ্ছিল, কেউ যদি এসে দরজায় কড়া নাড়ে। আমি দিনের আলো ফোটার অপেক্ষা করছিলাম। তবে এ ঘটনার পর তাকে কলকাতা ফেরার টিকিটের ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়নি।
সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলেখা জানান, ‘পালেরি মণিক্যম: ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’-এর অডিশনের সময়ে তাকে যৌন হেনস্তা করেছেন পরিচালক রঞ্জিত। অভিনেত্রী বলেন, আমি এক সিনেমাটোগ্রাফারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। রঞ্জিত হঠাৎই আমাকে ডেকে নিয়ে গেলেন ওর শোবার ঘরের দিকে ছবির গল্প বলার জন্য। আমি ভাবলাম ভিড় এড়ানোর জন্য তিনি ডাকছেন। ঘরটি বেশ অন্ধকার ছিল। আমি ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ আমার হাতের চুড়িগুলি নিয়ে খেলতে লাগলেন পরিচালক। আমরা নারীরা পুরুষের স্পর্শের অর্থ বুঝি। আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। কারণ আমার তেমন বন্ধুত্বও ছিল না ওর সঙ্গে। কিন্তু আমি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। তিনি আমার ঘাড়ে ও চুল স্পর্শ করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি সেই ঘর থেকে বেরিয়ে যাই।
এদিকে, অভিনেত্রীর এ অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র একাডেমির প্রধান ও পরিচালক রঞ্জিত। শ্রীলেখার অভিযোগকে মিথ্যে বলে দাবি করে পরিচালক বলেন, চিত্রনাট্যকার শঙ্কর রামাকৃষ্ণনের উপস্থিতিতে আমি ওর (শ্রীলেখা) সঙ্গে কথা বলেছিলাম। গল্প শোনার পর শ্রীলেখা খুশি হয়েছিলেন। আমি একটু সংশয়ে ছিলাম কোন চরিত্র শ্রীলেখাকে দেয়া যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে কোনো চরিত্র দেয়া হয়নি বলে তিনি যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি পরিচালকের।
Leave a Reply