বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করে ৪৪৮ রানের বিশাল পুঁজি পায় পাকিস্তান। তবে, সেই দৌড়ের পরে, টাইগাররা বড় লিড নেয়। মুশফিকুর রহিমের সর্বোচ্চ ১৯৩ রান এবং অন্য চার ব্যাটসম্যানের হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশ ৫৬৫ রান করেছে। তবে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ১১৭ রানের লিড নিয়ে অলআউট হয়ে যায় সফরকারী দল।
রাওয়ালপিন্ডির উইকেট ব্যাটিংয়ের স্বর্গ। মুশফিকুর রহিম সেই স্বর্গে আছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের ইচ্ছেমতো ইনিংস সাজান। সেঞ্চুরি করার পর মুশফিক দেড়শ রান পেরিয়ে ডাবল সেঞ্চুরির। এমন পরিস্থিতিতে তাকে সাহায্য করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইতিমধ্যেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন এই ব্যাটসম্যান। এক ইনিংসে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম ফিফটি।
চতুর্থ দিনের চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৫২৩ রান। ১৮৯ রান করে ব্যাট করছেন মুশফিক। অন্যদিকে ৬১ রানে ব্যাট করছেন মিরাজ। তারা দুজনই বাংলাদেশ দলকে বড় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ কোথায় ইনিংস ঘোষণা করে।
এর আগে চতুর্থ দিনে ১৩২ রানে এগিয়ে ব্যাট করতে আসা বাংলাদেশ দল শুরুতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আগের দিনের তুলনায় মাত্র ৪ রান যোগ করে ৫৬ রান করে সাজঘরের পথে এগিয়ে যান লিটন দাস। ফিরতে পারেন মুশফিকও। তবে লেগ বিফোর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের রিভিউ থেকে বেঁচে যান তিনি।
এরপর মিরাজের সঙ্গে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন মুশফিক। তামিম ইকবালের বলে সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। তামিমের ১০টি টেস্ট সেঞ্চুরির তুলনায় মুশফিকের এখন ১১টি সেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়া বিদেশের মাটিতে মুশফিকের সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন তামিমের ৪টি সেঞ্চুরির চেয়ে ৫ বেশি।
এদিন মুশফিককে অনেক সমর্থন করেছেন মিরাজ। মুশফিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে টেনে নিচ্ছেন তিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন মুশফিক। অবশেষে আউট হলেন মুশফিক। বক্তিগত ১৯১ রানে।
পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস)- ৪৪৮/৬ (১১৩ ওভার) (রিজওয়ান ১৭১*, সাইম ৫৬, শাকিল ১৪১, সালমান ১৯, আফ্রিদি ২৯*; শরিফুল ২/৭৭, হাসান ২/৭০)
পাকিস্তান (২য় ইনিংস)- ২৩/১ (১০ ওভার) (আইয়ুব ১, শফিক ১২*, শান মাসুদ ৯*) পাকিস্তান ৯৪ রানে পিছিয়ে।
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ৫৬৫/১০ (১৫৬ ওভার) (সাদমান ৯৩, মুমিনুল ৫০, জাকির ১২, শান্ত ১৬, সাকিব ১৫, লিটন ৫৬, মুশফিকুর ১৯১, মিরাজ ৭৭ হাসান ০, শরিফুল ২২, নাহিদ ১*) বাংলাদেশ ১১৭ রানে এগিয়ে
Leave a Reply