জরুরি অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করার সময় উত্তেজিত জনতা তার উপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ, মারধর ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করে।
পরে রাতে তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ১০টার দিকে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
বর্তমানে তিনি আইসিইউর একটি কেবিনে পর্যবেক্ষণে আছেন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূইঁয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তার চিকিৎসায় বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে জানিয়ে মাহবুব বলেন, তিনি আগে থেকেই নানা ধরণের শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তার ডায়াবেটিস আছে, হার্টে দুটো রিং পরানো হয়েছে। তবে তার অস্ত্রপচার সফল হয়েছে। সব ঠিক থাকলে তাকে দুতিনদের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিচারপতি মানিককে আটক করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
পরে পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে শনিবার বিকালে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসেনের আদালতে হাজির করে।
আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে আনার পথেই তিনি হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন।
বিচারপতি মানিক স্পর্শকাতর অঙ্গে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
Leave a Reply