আপনি কি দীর্ঘায়ু পেতে চান? তা হলে এড়িয়ে চলুন কয়েকটি ভয়ঙ্কর রোগের ফাঁদ। সুস্থ ও সবল দীর্ঘায়ু সবাই পেতে চায়। কিন্তু কতজন আর সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারে; বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বয়স ৬০ পেরোতে না পেরোতেই পিছু নেয় একাধিক জটিল রোগ! সে ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব আপনার কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা উচিত।
আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার ভুলভ্রান্তির দরুণ মূলত দীর্ঘায়ু পাওয়া সম্ভব হয় না। আর সে কারণে বিশেষজ্ঞরা আমাদের লাইফস্টাইল সবসময় বদলে ফেলার পরামর্শ দেন। যদি তা নিয়মমতো আপনি পালন করেন, তাহলে বদলে যাবে আপনার শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল। দূরে থাকবে একাধিক জটিল অসুখ।
আপনার জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে ঠিক কোন কোন বদল আনলে অনায়াসে ৮০-৯০-এর গণ্ডি পার করে ফেলা সম্ভব হবে, সে উত্তর আপনার জানা উচিত। আর এ নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন। আশা করি, এ কাজ ঠিকভাবে করলে আপনার সুস্থ হয়ে ওঠার পথে আর কোনো বাধা থাকবে না।
আমরা সবাই বেশিরভাগ বাইরের তেল, মসলাসমৃদ্ধ খাবার খেতে পছন্দ করি। আর এসব ফাস্টফুড খাবার ফলে বেজে যায় শরীরের বারোটা। পিছু নেয় ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে একাধিক জটিল রোগ। তাই চেষ্টা করুন বাইরের ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার। এমনকি বাড়িতেও তেল ও মসলাসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া চলবে না। তার বদলে হালকা পরিমাণ তেল-মসলা দিয়ে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এই সামান্য নিয়ম মেনে চললেই উপকার পাবেন।
এ ছাড়া আমাদের পরিচিত সব ফল, শাকসবজিতেই রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। যে কারণে এসব খাবার খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি অনেকটাই দূর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, শাকসবজি ও ফলে মজুত আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর গুণে কমে প্রদাহের দাপট। যার দরুণ শরীরে জটিল রোগ হতে পারে না। তাই আর সময় নষ্ট না করে রোজ খাদ্যতালিকায় এসব খাবার জায়গা দিন। তাতেই সুস্থ থাকার পথে এগিয়ে যাবেন।
আপনি ভুলে যাবেন না— অলস জীবন রোগের বসবাস। তাই আর শুয়ে বসে দিন কাটানোর ভুল করবেন না। তার বদলে একটু অ্যাকটিভ জীবন কাটান। এ ক্ষেত্রে দিনে অনন্ত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এতে আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। এই সময়টা আপনি জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারেন। কিংবা বাড়িতেই করতে পারেন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ বা যোগ। তবে ব্যায়ামে অনীহা থাকলে এই সময়টুকু হাঁটুন, সাইকেল চালান কিংবা সাঁতার কাটুন। ব্যস, তাহলেই একাধিক জটিল অসুখ কাছে ঘেঁষার সুযোগ পাবে না।
আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান না। আর এ কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগ ঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। যার ফলে বিপদ বাড়ে। তাই প্রতি বছর নিয়ম করে সুগার, কোলেস্টেরল, প্রেশার, থাইরয়েড, হার্টের পরীক্ষা করুন। আর এসব পরীক্ষার ফলে কিছু এদিক-ওদিক দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার কথামতো ওষুধ খান। ব্যস, তাহলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
Leave a Reply