মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না করে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুড়ী উপজেলা শাখা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুড়ীর প্রধান সমন্বয়ক ওসমান গনি, সমন্বয়ক তানভীর মাহতাব ভূঁইয়া, মো. হাসানুজ্জামান শোয়েব, রিয়াদুল ইসলাম সুফিয়ান, সহ-সমন্বয়ক মাহফুজ, আব্দুর রব, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও তাহসিন রহমান রাজিন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুড়ী উপজেলার প্রধান ও সহ-সমন্বয়করা সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে সবাইকে অবগত করতে চাই যে, আমরা ছাত্র অন্দোলনের সব কর্মীরা সব ঘটনার বিস্তারিত পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আমরা সব বিষয়েই নিজেরা নিজেদের উদার মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ প্রদর্শন করব। আমরা আমাদের ওপর হামলার বিষয় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমরা নিজেরা উদারতা, সৌন্দর্য, নম্রতা ও শুদ্ধতার প্রতীক হয়ে থাকতে চাই। যার কারণে আমাদের আন্দোলনে হামলার বিষয়ে আমরা কোনো পদক্ষেপ নেব না। কারণ আমরা বিশ্বাস করি ক্ষমা মহৎ গুণ এবং হামলাকারীদের মধ্যে এই বার্তা দিতে চাই যে, ক্ষমার মাধ্যমে আমরা তোমাদের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছি। এ বড় মধুর প্রতিশোধ।
কেননা আমাদের সঙ্গে করা আপনাদের ব্যবহারের বিনিময় আমরা কিভাবে দিচ্ছি দেখুন, দেখে নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন করুন, শিক্ষা নিন।
আমরা সব ছাত্রছাত্রীদের (আন্দোলন কর্মী) সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি যে, আমরা কোনো মামলা করব না এবং সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছি। তবে আমাদের বাইরে কোনো অভিভাবক বা কোনো নাগরিক যদি স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলা করতে চান তা উনি বা উনাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। সেক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো উনারা যেন কোনোভাবেই প্রতিহিংসা না দেখান এবং কেবলমাত্র প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মামলা করার ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম যেন কোনোভাবেই না আসে। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, হামলাকারীদের ক্ষমা করার মাধ্যমে আমরা তাদের অনুতপ্ত করাতে এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারব, যা হবে অধিক ফলপ্রসূ এবং মানবিকও।
এর আগে গত ২১ আগস্ট প্রধান সমন্বয় ও সমন্বয়করা এ বিষয়টি জুড়ী থানার ওসিকে লিখিতভাবে অবগত করেন।
Leave a Reply