ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে গুলি চালিয়ে বিকাশ সরকার (৪১) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি। রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে মহেশপুর উপজেলার হুদাপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। পেশায় নারী পাচারকারী দালাল বিকাশ সরকার নদীয়ার কল্যাণী থানার মাঝের চর কল্যাণী গ্রামের রায়মোহন সরকারের ছেলে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) মহেশপুর ৫৮ বিজিবির এক ই-মেইল বার্তায় এ খবর জানানো হয়।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রোববার রাতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সীমান্ত পিলার ৬০/২৯-আর হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাঘাডাংগা গ্রামের হুদাপাড়া এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে তিন বাংলাদেশি নারীকে জড়ো করা হয়েছে। খবর পেয়ে মহেশপুরের বাঘাডাংগা এলাকায় ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দল পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা তিন নারীর অবস্থান নিশ্চিত করে বিজিবি সেখানে অপেক্ষা করতে থাকে। রাত গভীর হলে শূন্য লাইনের কাছাকাছি অজ্ঞাত এক ব্যক্তি পাখির ডাকের মতো শব্দ করে ওই নারীদের উদ্দেশ্যে সংকেত প্রেরণ করতে থাকে। দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে নারীরা সংকেত বুঝতে পারে না।
এ সময় ভারতীয় মানব পাচারকারী বিকাশ সরকার অবৈধভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে এবং দ্রুত ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবির টহল দল তাদের আটকের চেষ্টা করলে তারা ভারত অভিমুখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ফ্রন্ট লাইনে তিন নারী থাকায় ভারতীয় মানব পাচারকারীকে লক্ষ্য করে গুলির পরিবর্তে বিজিবি ফাঁকা গুলি চালায়। গুলির শব্দে ভারতীয় মানব পাচারকারী সদস্য আতংকিত হয়ে মাটিতে বসে পড়লে বিজিবি সদস্যরা তাকে ঘিরে ফেলে এবং তিন নারীসহ তাকে আটক করে। আটক বিকাশ সরকারের কাছ থেকে ভারতীয় আধার কার্ড এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে বিকাশ সরকার স্বীকার করেছেন, তিনি মানব পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা তিন বাংলাদেশি নারীকে যশোরের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি সংস্থার প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
Leave a Reply