সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে গোল করার পর সাঈদ-মুগ্ধদের স্বরণ করেছে বাংলাদেশ। গোল করার পর গোলরক্ষক একটি টি-শার্ট পরেছিলেন যার গায়ে ছিল তাদের ছবি। গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশ জয়ের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান অধিনায়ক। আজ নেপালের কাঠমান্ডুতে ফাইনালে ভারতকে হারিয়েও জেনারেশন জি (জেএনজি) খবরে আছে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ মারুফুল হককে জেনজি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সামাজিক মাধ্যমে যা দেখেছি, আমাদের জেনজি স্পেশালি জেনারেশন জে। তারা সবাই প্রত্যাশা করছিল ভারতের বিপক্ষে জিতব। আমি মনে করি এখন তারা খুশি এবং অনেক খুশি।’
বাংলাদেশ-ভারত লড়াই মানেই বাড়তি উন্মাদনা ও উত্তেজনা। সেটা সিনিয়র বা জুনিয়র দল হোক আর ফুটবল বা ক্রিকেট। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ম্যাচের বাড়তি উন্মাদনা ছিল।
ভারত এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। সেই ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা সহজ ছিল না। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘অবশ্যই ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ। তারা ম্যাচিউর (পরিপক্ব) ফুটবল খেলেছে। আমাদের ছেলেরা শেষ পর্যন্ত ভালো খেলেই ম্যাচটি বের করেছে। এজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি।’
টুর্নামেন্ট জয়ের লক্ষ্য নিয়েই দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের কাছে হেরে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল। এদিকে সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গে কোচ বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করেছি। প্রতিপক্ষ ভারত হওয়ায় তাদের মধ্যেও তাড়না ছিল।’
ম্যাচের প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপরও ভারত বাংলাদেশকে চেপে ধরে। এ নিয়ে মারুফের মূল্যায়ন ছিল, ‘গোল পর্যন্ত পরিকল্পনা ভালো ছিল, এক গোলের লিড নেওয়ার পর আরও আক্রমণাত্মক খেলা করা যেত। তা ঘটেনি। অবশ্য ফুটবলে এটাই আমাদের জাতিগত সংস্কৃতি। এখান থেকে আমাদের উন্নতি করতে হবে।
চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন জাতীয় দলের সিনিয়র গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেন, ‘সে গুরুতর আহত নয়’, ‘তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’ একটি ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। ম্যানেজার রকিব ভাই সাথে আছেন। আমি যতদূর জানি, গুরুতর কিছু নয়।
ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল। দুই বছর আগে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নেপাল নারী ফুটবল দল। ফুটবলে বাংলাদেশের ভাগ্যবান মাঠ নেপাল। সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি উত্থাপিত হলে মারুফ বলেন, ‘নেপাল অবশ্যই একটি শক্তিশালী দল। বিশেষ করে হোস্ট হিসেবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে যাব। ফুটবলে ৫১ শতাংশ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা এবং ৪৯ শতাংশ ভাগ্য।
Leave a Reply