বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ ধেয়ে আসছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি এখন ঘনীভূত হয়নি। লঘুচাপ সৃষ্টির পর এর গতিপথ সম্পর্কে জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন মডেল পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২১ তারিখের পর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যেটি পরবর্তী সময়ে লঘুচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে।’
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হলে কোথায় আঘাত হানতে পারে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। এটির গতিপ্রকৃতি এখন স্পষ্ট নয়।
লঘুচাপ সৃষ্টির পর বলা যাবে।’
ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী—আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তি বৃদ্ধি করবে। ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।
২৫ মে সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
তবে আবুল কালাম বলেন, এখনো লঘুচাপ সৃষ্টি হয়নি। তাই আগে থেকেই এটির গতিপ্রকৃতি বলা ঠিক হবে না। অনেক সময় সাইক্লোনে রূপান্তরিত হওয়ার পর সেটির গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। তাই এটি এখন উপকূলের কোন অঞ্চলে বা কোন দেশে আঘাত হানবে তা বলা উচিত নয়।
এদিকে গতকাল থেকে দেশের পাঁচ বিভাগে তাপপ্রবাহ সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। তবে ৪০ ডিগ্রিতেই ওঠানামা করবে। বুধবার সন্ধ্যার বুলেটিনে বলা হয়, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর বাইরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বাকি অংশে।
Leave a Reply